• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিয়ে করতে যুবকদের অবাক কাণ্ড!

প্রকাশিত: ১১:৪০, ১১ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ১১:৪৪, ১১ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
বিয়ে করতে যুবকদের অবাক কাণ্ড!

ছবি: সংগৃহীত

একদল যুবক প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ পদযাত্রা করে একটি মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করেছে, যাতে তাদের ভাগ্যে বউ জোটে। এ ঘটনা ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের। 

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও হাস্যরসের জন্ম দিলেও অধিকারকর্মীরা বলছেন, এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ওই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক সংকটের একটি চিত্রও ফুটে উঠেছে।

পদযাত্রাটি শুরু করেছিলেন ত্রিশ জনের একটি দল এবং শেষ পর্যন্ত এতে অংশ নিয়েছে ষাট জনের মতো। পদযাত্রায় অংশ নেওয়া সবাই ওই রাজ্যের মান্ডিয়া জেলার কৃষক।

কয়েক দশক ধরেই কর্ণাটকে নারী পুরুষের অনুপাতের পার্থক্য বেড়েই চলেছিল এবং যে কারণে অনেক পুরুষই বিয়ে করার জন্য পাত্রী খুঁজে পায় না। এ ছাড়া অনেকে আয় কম থাকা কিংবা নারীদের মধ্যে ভিন্ন গোত্রে পছন্দ করার ঘটনার কারণেও পাত্রী সংকট তৈরি হয়েছে।

অবিবাহিতদের এই পদযাত্রায় যারা অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে একজন হলেন মাল্লেশা ডিপি। তারা গিয়েছিলেন মহাদ্বেশাওয়ারা মন্দিরে, যার ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হবে।

মাল্লেশা বলেন, যখন প্রেম করার বয়স ছিল তখন আমি কাজ করেছি। অর্থ আয় করেছি। এখন আমার সব আছে কিন্তু বিয়ে করার জন্য পাত্রী পাচ্ছি না।

তার বয়স এখন ৩৩। তবে তিনি মনে করেন, নিজ এলাকায় বিয়ে করার জন্য সঠিক বয়স তিনি অতিক্রম করে ফেলেছেন। 

তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে অন্তত ত্রিশ জন নারী তার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলছেন তার পেশা আর একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় বাস করা।

এই পদযাত্রা আয়োজক শিবপ্রসাদ কেএম বলছেন, এই কর্মসূচির কথা ঘোষণার পর দুইশো জনের মতো নিবন্ধন করেছিল অংশ নেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, কিন্তু পরে অনেকে অংশ নেননি কারণ স্থানীয় মিডিয়া এটিকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছিল।

মান্ডিয়া একটি উর্বর কৃষি অঞ্চল। এখানে সবচেয়ে বেশি হয় আখ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কৃষি থেকে আয় কমে আসায় পেশার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকে।

আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে সেখানে এক হাজার পুরুষের বিপরীতে নারীর সংখ্যা ছিল ৯৬০। ২০০১ সালে এই অনুপাত ছিল এক হাজার পুরুষের বিপরীতে ৯৭১।

পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আরেকজন ৩১ বছর বয়সী কৃষ্ণ বলেন, এখন অনেকে মনে করে কৃষি পেশায় থাকা পরিবারগুলোর তরুণদের আয় রোজগার অনিশ্চিত।

শিবপ্রসাদ কেএম বলেন, আমাদের বসবাসের জায়গা ছোট এবং আয় কম। এ পেশার পাশাপাশি যাদের ব্যবসা বাণিজ্য আছে তাদের জন্য বরং বিয়ে করা সহজ।

সূত্র: বিবিসি

আরও পড়ুন: 

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: