• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণ, দুই সন্তানসহ দম্পত্তি দগ্ধ 

প্রকাশিত: ১৩:১৪, ১০ মে ২০২২

আপডেট: ১৩:১৬, ১০ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণ, দুই সন্তানসহ দম্পত্তি দগ্ধ 

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ মে) ভোর ৫টার দিকে ফতুল্লা পোস্ট অফিস এলাকার একটি টিনশেড বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন- হোশিয়ারি কারখানা শ্রমিক রোজিনা আক্তার (৩৩), তার স্বামী রিকশা চালক আনোয়ার হোসেন (৪০), একই দম্পতির দুই ছেলে হোশিয়ারি কারখানা শ্রমিক রোমান (১৭) ও স্কুলছাত্র রোহান (৯)।

আনোয়ারের বাড়ি বরিশালের হিজলায় এবং রোজিনার বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায়।

দগ্ধ রোজিনা জানান, ভোরে তিনি জেগে ছিলেন। তবে বাসার ভেতর স্বামী ও দুই ছেলে ঘুমিয়ে ছিলেন। তখন হঠাৎ বাসার ভেতর বিস্ফোরণ হয় এবং দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। সেই আগুন মুহূর্তেই তাদের শরীরে লেগে যায়। ঘুমন্ত অবস্থা থেকে স্বামী-সন্তানদের তুলে দৌড়ে বাড়ির বাইরে বের হন তিনি। তবে ততোক্ষণে ঝলসে যান ৪ জনই।

দগ্ধ আনোয়ার হোসেন জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে জানালা দিয়ে গ্যাসের বুদবুদ শব্দ শুনতে পাই। তার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ একটি শব্দ হয়ে আগুন লেগে যায়। 

দগ্ধ আনোয়ার হোসেনের ভাবি রুনা আক্তার অভিযোগ করেন, ওই বাড়িটির পাশ দিয়ে অন্য বাড়ির একটি গ্যাস লাইন নেওয়া হয়েছে। পুরাতন সেই পাইপ লাইনটির রাইজার ছিল আনোয়ারদের ঘরের জানালার পাশে। সেখান থেকে সব সময়ই গ্যাস বের হতো। সবসময়ই গ্যাসের গন্ধ পেতেন তারা। এটি বাড়ির মালিককে বারবার বলা হয়েছে মেরামত করে দিতে। তবে তা ঠিক করে দেয়নি। এ জন্য ২-৩ মাস ধরে পরিবারটি বাসাটি ছেড়ে দিতে চাইছিলো। তবে বিভিন্ন কারণে ছাড়তেও পারছিলো না।

বাড়ির মালিক কাউছার আহমেদ জানান, সকালের দিকে আনোয়ার সিগারেট খায়। খাওয়ার পর সিগারেটের বাকি অংশ ফেলে দিলে তা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা.আইয়ুব হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে আনোয়ার ১৭ শতাংশ, রোজিনা ২৪ শতাংশ, তার ছেলে রুহান ৩৫ শতাংশ ও রোমান ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে রোমান শঙ্কামুক্ত। বাকি তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তদের সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

বিভি/এএন

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2