উর্বরতা হারিয়ে আশানুরপ ফসল উৎপাদন করতে পারছে না জমি
ফসলি জমির প্রাণ গিলে খাচ্ছে ইটভাটা

লালমনিরহাটে ফসলি জমির প্রাণ গিলে খাচ্ছে ইটভাটাগুলো। উর্বরতা হারিয়ে আশানুরপ ফসল উৎপাদন করতে পারছে না জমি। ভাটা মালিকদের ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে আটকে কৃষক নিরুপায় হয়ে বিক্রি করছেন জমির ওপরের মাটি। পরে অনন্ত অপেক্ষায়ও ফিরছে না উর্বরতা।
লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব চালাচ্ছে ১৮টি বৈধ ও ৪১টি অবৈধ ইটভাটা। এতে উর্বরতা হারাচ্ছে কৃষি জমিগুলো। ৩ থেকে ৫ ফুট গভীর করে মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে ইট তৈরির জন্য। ভাটা মালিকের চক্রান্তে বাধ্য হয়েই মাটি বিক্রি করছেন কৃষক। এক বিঘা জমির টপ সয়েল বিক্রি করে পাওয়া যায় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। টপ সয়েল বিক্রি করে সাময়িক কিছু টাকা পেলেও দীর্ঘদিন ভোগ করতে হয় এর কুফল। বেশি বেশি সার ব্যবহারেও ফিরছে না স্বাভাবিক অবস্থা।
জেলার সবগুলো ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে কৃষি জমির ওপর। মাটির উপরিভাগ থেকে ৮ ইঞ্চি পযর্ন্ত গভীর অংশকে বলা হয় মাটির প্রাণ। আর এই প্রাণের উর্বরতা শক্তিই মাটিকে সক্ষম করে তোলে প্রত্যাশিত ফসল উৎপাদনে। ইটভাটার কারনে প্রতি বছর কয়েকশ' বিঘা ফসলি জমি হারাচ্ছে ফসল উৎপাদনে উদ্যমি শক্তি।
কৃষি জমি থেকে ইটভাটা সরিয়ে নিতে প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগের অপেক্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শামীম আশরাফ ও জেলা প্রশাসক আবু জাফর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন: