• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

দেশের বিভিন্ন শহরে যাচ্ছে শ্রীমঙ্গল হাইল হাওরের মাখনা 

প্রকাশিত: ২০:৪২, ১০ মে ২০২৩

ফন্ট সাইজ
দেশের বিভিন্ন শহরে যাচ্ছে শ্রীমঙ্গল হাইল হাওরের মাখনা 

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার শহর এলাকায় যাচ্ছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল হাইল হাওর থেকে সংগ্রহ করা জলজ ফল মাখনা। মিঠা পানির কাঁটাযুক্ত এক প্রকার ফল মাখনা। স্থানীয়রা ফলটিকে (ফুকল) ফল নামে চিনেন। স্থানীয়দের কাছে এ ফলের চাহিদা কম হলেও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহর এলাকায় বিশেষ করে পুরান ঢাকার মানুষের কাছে রয়েছে এ ফলটির ব্যাপক চাহিদা।

তিন যুগের বেশি সময় ধরে হাইল হাওর থেকে মাখনা সংগ্রহ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার শহর এলাকায় পাঠিয়ে আসছেন শ্রীমঙ্গলের শহরতলীর লালবাগ এলাকার মোঃ আবুল মিয়া ও মোঃ সামছুদ্দিন।

মোঃ আবুল মিয়া বলেন, এর আগে আরও অনেকেই হাইল হাওরের মাখনা ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। হাওরে মাখনার ফলন কমে যাওয়ায় বর্তমানে তারা ৪/৫ জন মাখনা ব্যবসায় টিকে আছেন। মাখনা বছরের চৈত্র ও বৈশাখ মাসে হাওড়ে পাওয়া যায়। এই জলজ ফলটি কালো রঙের হয়ে থাকে। সুচালো কাঁটা যুক্ত ফলটি চামড়া ছাড়ালে ভিতরে থাকা কালো বীজ বের হয়। সেই কালো বীজের ভিতরে থাকা সাদা অংশই খেতে হয়।

বিশেষজ্ঞরা জানান, মাখনা এক প্রকারের জলজ ওষুধি উদ্ভিদ। ওষুধি গুণসম্পন্ন এই উদ্ভিদের বীজটি শারীরিক বলবর্ধক এবং কামোত্তেজক। এ ফলের পাতা বাত রোগের জন্য উপকারী।

জানা যায়, টানা দুই থেকে আড়াইমাস হাওর পারের মানুষের কাছ থেকে মাখনা সংগ্রহ করে ঢাকার সদরঘাট ও জিনজিরা এলাকা-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গার শহরের বিভন্ন আড়তে পাঠান ব্যবসায়ীরা।

আরো জানা যায়, আড়তদারদের হাত ধরে রাজধানীর বিভিন্ন অলি-গলিসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার শহরের বিক্রি হয় মাখনা। ফলটিতে সূচাল কাঁটা দিয়ে জড়ানো থাকায়, খালি হাতে ধরতে চাইলে যেকোনো সময় হাতে কাঁটা বিধে যেতে পারে। যারা এই ফলটি পানি থেকে তোলেন তারা বাঁশের তৈরি এক ধরনের চিমটা ব্যবহার করে।

শ্রীমঙ্গল শহরের হবিগঞ্জ রোডের বাস স্ট্যান্ড এর পাশে শাহী ঈদগাহের সামনে চোখে পড়ে এই ফলটি বস্তা থেকে বের করে টুকরিতে ভরে প্যাকিং করছেন কয়েকজন।

মোঃ সামছুদ্দিন এর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন ১৫/২০ টুকরি মাখনা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার শহরে যায়। প্রতি টুকরি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করে থাকেন। আগে এ ব্যবসার সাথে ১৫/২০ জন জড়িত ছিলেন। ১৫০/২০০ টুকিরি পর্যন্ত মাখনা পাঠাতেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়।

হাওরের পরিধি কমে যাওয়ায় অন্যান্য জলজ ফল ও উদ্ভিদের ন্যায় মাখনার ফলনও কমে এসেছে বলে জানান।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: