আঞ্চলিক ভাষা বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াসে ‘নরসিংদীর আঞ্চলিক শব্দকোষ’
![আঞ্চলিক ভাষা বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াসে ‘নরসিংদীর আঞ্চলিক শব্দকোষ’ আঞ্চলিক ভাষা বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াসে ‘নরসিংদীর আঞ্চলিক শব্দকোষ’](https://www.bvnews24.com/media/imgAll/2024April/bvnews-24-Narsingdi-2406011146.jpg)
ঘুম থেকে জেগে উঠে আবার ঘুমানো পর্যন্ত দীর্ঘ সময় সৃষ্টিজগতের প্রতিটা প্রাণি যে প্রক্রিয়ায় নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে বা ভাবের আদান-প্রদান করে সেটা হলো ভাষা। আর এই ভাষার মতো এতো বৈচিত্র্য আর কোনোকিছুতেই নেই। তবে বিশ্বায়নের এই যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে অনেক ভাষা। আর এই হারিয়ে যাওয়ার স্রোতে ধুঁকছে প্রাচীন সব আঞ্চলিক ভাষা। কিন্তু সেই হারিয়ে যাওয়ার স্রোত থেকে আঞ্চলিক ভাষা বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াসে সংকলিত হয়েছে ‘নরসিংদীর আঞ্চলিক শব্দকোষ’।
বইটির সংলক ও সম্পাদক নরসিংদীর শেকড় সন্ধানী লেখক, লোকসংস্কৃতি গবেষক ও সংগ্রাহক ফখরুল হাসান। ১৩৫ পৃষ্ঠার বইটিতে উঠে এসেছে নরসিংদী জেলার মানুষের মুখের প্রচলিত ভাষার শব্দ ও তার অর্থ। ২০২৪ নালের বইমেলায় প্রতিভা প্রকাশ থেকে বইটি প্রথম প্রকাশ হয়। যার প্রকাশক মঈন মুরসালিন।
রাজধানী ঢাকার অতি সন্নিকটেই নরসিংদী জেলার অবস্থান। জেলা হিসেবে নরসিংদী নতুন হলেও ঐতিহ্যের দিক থেকে বেশ পুরোনো। শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে আপন বৈশিষ্ট্য সমুন্নত রেখেছে নরসিংদী জেলা। বাণিজ্যিক দিক দিয়ে সুপরিচিত এই জেলা নানা কারণেই বিখ্যাত। এই অঞ্চলের রয়েছে নিজেদের আঞ্চলিক ভাষাও। যে ভাষার রয়েছে নিজস্ব একটি গতি। যা অন্যান্য বিভিন্ন এলাকার শব্দাবলী থেকে সহজ ও সরল।
নরসিংদীর আঞ্চলিক ভাষার রয়েছে বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এই অঞ্চলের লোকভাষায় ‘সা’ এং ‘শ’ এর স্থলে ‘হ’ এবং ‘র’ এর স্থলে ‘ল’ ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে। যেমন- শ্বশুরকে বলে হউর, রসুনকে বলে লওন। এভাবেই বৈচিত্র্যময় নানান শব্দে ভরপুর ‘নরসিংদীর আঞ্চলিক শব্দকোষ’ বইটি।
অনেক বৈচিত্র্য থাকা এই ভাষায় ‘একবারে’ কে বলা হয় এক্কেরে, ওপরে শব্দটাকে তারা আঞ্চলিক ভাষায় বলে উরপে, এ্যান্ডামারা শব্দের অর্থ ফূর্তি করা, ঝগড়া শব্দটাকে কাইজ্জা উচ্চারণ করেন নরসিংদীর মানুষজন। বহুল প্রচলিত চিরুনিকে তারা বলেন ‘কাহুই’। এভাবে নানান বৈচিত্র্যময় আঞ্চলিক শব্দ ও তার বাংলা অর্থ দিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: