জলাবদ্ধতার পেছনে দুই সিটির খরচ ৭৩০ কোটি টাকা, তবুও ডুবছে রাজধানী

ছবি: জলাবদ্ধ রাজধানী
কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমর পানিতে ভাসছে নগরবাসী। এমন পরিস্থিতিতে ছুটির দিনেও পানি সরাতে মাঠে নামে ঢাকার দুই সিটির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। তবে ১২ ঘন্টায়ও সরেনি নিউ মার্কেট, গ্রিনরোডসহ বিভিন্নস্থানের পানি। কিন্তু তীব্র এই জলাবদ্ধতার সমস্যা আগেই চিহ্নিত হয়েছিল। নেওয়া হয়েছিল কার্যকরি নানান উদ্যোগও। ব্যয় করা হয়েছিল হাজার হাজার কোটি টাকা। তবুও ফলাফল শূন্য।
গত এক যুগে ঢাকা ওয়াসার উদাসীনতায় ডুবতে ডুবতে নিরাস হওয়া নগরবাসী বর্তমান দুই মেয়রের প্রতিশ্রুতিতে আশ্বানিত হয়েছিলেন। কিন্ত প্রতিশ্রুতিতেই যেন সীমাবদ্ধ রয়ে গেল জলাবদ্ধতার সমাধান।
২০২০ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর জলাবদ্ধতাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার দায়িত্ব নিয়েছিল দুই সিটি। এরপর গত চার বছরে অন্তত ৭৩০ কোটি টাকা ব্যয় করেও জলাবদ্ধতার কার্যপকর কোনো সমাধান দেখাতে পারনেনি দুই মেয়র।
সূত্র বলছে- জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গত চার বছরে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে খরচ করেছে প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটির করপোরেশন একই সময়ে ব্যয় করেছে প্রায় ৩৭০ কোটি টাকা। ঢাকা ওয়াসা ও দুই সিটি করপোরেশন সূত্র বলছে, গত এক যুগে জলাবদ্ধতা নিরসনে সব মিলিয়ে কমপক্ষে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। কিন্তু কাজে আসেনি এতোসব আয়োজন।
অধ্যাপক ও নগর পরিকল্পনাবিদ নগর ড. আদিল মুহাম্মদ খান মনে করেন। জলাদারকে গুরুত্ব না দিয়ে শুধু প্রকল্প ভাগিয়ে উন্নয়ণ দেখালেই জলাবদ্ধতার সমাধান মিলবে না। উল্টো মেয়রদের আশ্বাসকে জনগনের সঙ্গে উপহাসের শামিল বলে মনে করেন তারা।
তীব্র এই জলাবদ্ধতায় দুই সিটি করপোরেশনের কর্তাব্যক্তিদের কোনো সমস্যা পোহাতে না হলেও চরম বিপাকে পড়েছেন এবং আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছিলেন নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।
বিভি/এমআর
মন্তব্য করুন: