উপহারের ঘরে নীলফামারীর ৭৫১ পরিবারের কষ্টের জীবন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের রঙিন ঘরে ঠিকানাহীন মানুষরা বেঁচে থাকার স্বপ্ন বুনলেও নীলফামারীর সাতশ’ ৫১ আশ্রয়ন প্রকল্পে কাটছে কষ্টের জীবন। নিম্নমানের কাজে খুলে পড়ছে ঘরের ইট-সিমেন্ট। ফেটে চৌচির বারান্দা ও মেঝে। শ্রাবণের বৃষ্টি ঝরছে চাল বয়ে। পূরণ হচ্ছে না মৌলিক চাহিদাও। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়ম মেনেই কাজ হয়েছে শক্তপোক্ত।
হাতের আঙুল শক্ত? না কংক্রিটের দেয়াল? উত্তর নিশ্চয়ই দেয়াল। কিন্তু এই আশ্রয়ন প্রকল্প একেবারেই উল্টো। হাতের পরশেই ভেঙে পড়ছে দেয়ালের পলেস্তারা।
নীলফামারী জেলা সদরের ১৫ ইউনিয়নে প্রথম থেকে চতুর্থ পর্যায়ে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পে সরকারের উপহারের ঘরে ঠাঁই হয়েছে ৮শ’ এক জনের। ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ১৫ কোটি টাকা। সুফলভোগীদের অভিযোগ, ‘বাইরে ফিটফাট হলেও ভেতর সদরঘাট।’ ছাউনির টিনের ফুটোয় দেখা যায় আকাশ। বৃষ্টিতে সয়লাব হয় ঘর। মাঠে পানি জমে হয় পুকুর।
জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, উপজেলার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বাস্তবায়ন করেছে প্রকল্প। আর সংশ্লিষ্টদের দাবি, নিয়ম মেনেই কাজ হয়েছে আশ্রয়নের।
চলতি বছরের মার্চে এই উপজেলাকে ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: