আদালতের বারান্দায় ধস্তাধস্তি, তিনতলা থেকে পড়ে গেলেন স্বামী-স্ত্রী

আদালতে যৌতুকের মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া। এক পর্যায়ে দুজনই আদালত ভবনের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে যায়। ঘটনায় দুইজনই আহত হয়ে এখন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ দুপুরে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বারান্দায়। এই সময় আদালত চলছিল। তাৎক্ষণিক আদালতে হাজির থাকা লোকজন তাদের দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং আহত স্বামী স্ত্রী জানান- স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় হাজিরা দিতে এসে স্বামী স্ত্রী বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আদালত ভবনের ৩ তলা রেলিং থেকে প্রথমে স্বামী মামুনুর রশিদ স্ত্রী সিমা আক্তারকে তৃতীয় তলা থেকে ফেলে দেয়। এ সময় স্ত্রী সীমা আক্তার স্বামীর হাত ধরে না ছাড়লে স্ত্রীর সাথে স্বামীও ৩ তলা থেকে নিচে পড়ে যায়।
আহত মামুন মেহেরপুর গাংনী উপজেলার শওড়াতলা গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে এবং সিমা আক্তার তেতুলবাড়িয়া রামদেবপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের মেয়ে। সীমা খাতুন বলেন প্রায় এক যুগ আগে মামুনের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের ১২ বছর পর সীমা স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করে। মামলা নং -সিআর-১৭৬/২৩। ওই মামলায় কাবিননামার ৩ লাখ টাকা প্রদান সাপেক্ষে আপোষ হয়। আদালতে আপোষের টাকা প্রদানের দিন কথা ছিল আজ। স্বামী স্ত্রী দুজনই আদালতের সন্মুখ রেলিংয়ে দাঁড়িয়ে ছিল মামলায় হাজিরের অপেক্ষায়। এ সময় দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে এই ঘটনা ঘটে ।
মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নাজমুস সাকিব বলেন-দুজন রোগী এসেছে। দুজনই গুরুতর আহত। আহত স্বামী রশিদকে মেহেরপুরে এবং স্ত্রী সীমাকে কুষ্টিয়া রেফার করা হয়েছে।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: