ভৈরবে ব্যতিক্রমী হাটে শীতের পোশাক বিক্রির ধুম

ভৈরব শহরে প্রতি মঙ্গলবারের ব্যতিক্রমী পাইকারি হাটে শীতের পোশাক বিক্রির ধুম পড়েছে। তীব্র শীতের মধ্যেও সাপ্তাহিক এই হাটে থাকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়, বেচাকেনা চলে রাতভর। হাটে একদিনেই ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার কাপড় বেচাকেনা হয়।
রাত যত গভীর হয় ততই বাড়ে বিক্রি। ভৈরবে ব্যতিক্রমধর্মী এই কাপড়ের হাট বসে প্রতি মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। বেচা-কেনা চলে ভোর পর্যন্ত। বিকাল পাঁচটা থেকে কাপড় নিয়ে ভৈরব যান বিভিন্ন জেলার পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাউছিয়া, সাভার, নরসিংদীর শেখেরচর ও মাধবদিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ছোট-বড় অসংখ্য কারখানায় তৈরি করা হয় এসব কাপড়।
এই হাটের ক্রেতা মূলত সিলেটের সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও ভৈরবসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলার খুচরা ব্যবসায়ীরা। সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে ক্রেতা- বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে হাটে তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না। বাজারের জিল্লুর রহমান শহররক্ষা বাঁধ রোড, বাগানবাড়ি, বাদামপট্টি, নদীরপাড়, সায়দুল্লাহ মিয়া ঘাট এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১২শ পাইকার বসেন কাপড় নিয়ে।
ফুটপাতের দোকানগুলোতে বড়দের বিভিন্ন রকম শীতের কাপড় ও অন্যান্য নানা কাপড় বিক্রি হয়। শিশুদের নানা ধরণের কাপড়ের পসরা নিয়ে ফুটপাত জুড়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। কাপড়ের পাইকারি ও খুচরা দাম সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার টাকার মধ্যে।
পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধার জন্য বিভিন্ন ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে ভৈরববাজার, জানালেন পৌরসভার মেয়র।
ভৈরবের পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে আসা মানুষের ব্যবসায়িক মিলনমেলার কেন্দ্রবিন্দু ভৈরব বাজারের এই হাট। এখানে বেচাকেনা হয় প্রায় ৮/১০ কোটি টাকার।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: