• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

শত বছরে অক্ষত হীরা জহরতে ভরা বগুড়ার রূপজান বিবির কবর

আব্দুর রহিম বগড়া

প্রকাশিত: ১৮:১৮, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ১৬:০৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ফন্ট সাইজ
শত বছরে অক্ষত হীরা জহরতে ভরা বগুড়ার রূপজান বিবির কবর

হীরা জহরত নিয়ে শতবছর ধরে কবরে শুয়ে থাকা অনিন্দ্য সুন্দরী নারী রূপজান বিবি এই প্রজন্মের মানুষের কাছে ভালোবাসার নিদর্শন। বগুড়া শহরের আঞ্জুমান ই গোরস্থানের প্রথম গেট ধরে কয়েক কদম যাওয়ার পর সর্ব পূর্বে প্রাচীর ঘেঁষে শুয়ে আছেন রূপজান বিবি।

কবরে স্বেত পাথরে লেখা রয়েছে, সংসারের প্রান্ত ভাগে লভিয়া জনম/ দীনবেশে ছিল উচ্চ প্রনয় বৈভবে। প্রেমিকের অশ্রুজলে গাথা এ সমাধি; /হে পথিক কৃপানেত্রে হেরিলে বারেক/ ধন্য হবে শান্তি পাবে অন্তিম শয়নে।

তাজমহল গড়ে সম্রাট শাজাহান ভালবাসার অন্যন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, তেমনি বগুড়ায় সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে আসা ইংরেজ যুবক স্টেশন মাস্টার স্ত্রী রুপজান বিবির সমাধি সৌধ তৈরি করে তার ভালবাসার পরিচয় দিয়েছেন। 

ইতিহাসবিদদের মতে, বৃটিশশাসনামলে বগুড়া রেল স্টেশনের দায়িত্বে আসেন এক খ্রিষ্টান ইংরেজ বাবু। কর্মজীবনে ভালোবাসেন বগুড়ার সুন্দরী নারী রুপজান বিবিকে। প্রায় ১১০ বছর আগে রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের কুমারী কন্যাকে ভালোবেশে বিয়ে করাটা ছিলো প্রায় অসম্ভব। কিন্তু ইংরেজ বাবুর ভালোবাসার কাছে সব কিছু হার মানে।  অনেক দেন দরবার ও সমাজপতিদের সম্মতিতে অবশেষে ইংরেজ খ্রিষ্টান পুরুষের সাথে বাঙালী ললনার বিয়ে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে সেই সময় বগুড়ার নবাব, জমিদার ও অনেক গণ্যমান্যরা অংশ গ্রহণ করেন বলে জানা যায়। 

ভালোই চলছিলো তাদের দাম্পত্য জীবন। কালোমেঘ ঢেকে যায় ১৯১৫ সালের ১০ মার্চ । বগুড়ায় সে সময় ভালো হাসপাতাল না থাকায় সন্তান সম্ভাবা রুপজান বিবিকে বগুড়া থেকে নেওয়া হয় কলকাতায়। ১৯১৫ সালের ১০ মার্চ কলতায় বেদনাদায়ক মৃত্যু হয় রুপজান বিবির। 
আপস

মৃত্যুর পর তার লাশ বগুড়ায় শহরের আঞ্জুমান ই গোরস্থানের পূর্বপাশে একখন্ড জমি কিনে তাকে কবর দেন। রূপজান বিবিকে কবর দেওয়ার সময় তার ব্যবহৃত সোনার গহনা, হীরা জহরত কবরে রেখে দাফন করেন। একটি দিঘী খনন করে রূপজানের নামে নামকরণ করেন। এরপর স্টেশন মাস্টারের আর দেখা পাওয়া যায়নি। বগুড়াবাসীর কাছে আমানত স্বরূপ তার স্মৃতি রেখে গেছেন। রেখে গেছেন ভালোবাসার নির্দশন। 

সমাধি ভেঙ্গে অলংকার ডাকাতি করার চেষ্টার কথা জানিয়ে স্থানীয়রা বলেন, দুর্ভাগ্যবসত সেই দিঘীটি নেই। তবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে কবরটি সংরক্ষণে এগিয়ে আসার আহবান তাদের।

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: