• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

স্বামী হারানোর শোকের মাঝে জলদস্যুুদের হাতে ছেলে জিম্মি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৪৬, ১৪ মার্চ ২০২৪

ফন্ট সাইজ
স্বামী হারানোর শোকের মাঝে জলদস্যুুদের হাতে ছেলে জিম্মি

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়া জলদস্যুদের হাতে অপহরণের শিকার লক্ষ্মীপুরের আইয়ুব খান রবিনের (২৪) পরিবারে দুশ্চিন্তা বিরাজ করছে। তিনি ওই জাহাজের ইঞ্জিন ক্যাডেট পদে শিক্ষানবিশ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমী থেকে পড়াশুনা শেষ করে প্রায় ১০ মাস আগে তিনি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম কোম্পানির এমভি আবদুলাহ নামক জাহাজে শিক্ষানবিশ ইঞ্জিন ক্যাডেট পদে যোগদান করেন।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাইয়ে যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ বুধবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশী মালিকানাধীন এমভি আবদুলাহ জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুরা তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় জাহাজটিতে ২৩জন নাবিন ছিলেন। জলদস্যুরা জাহাজটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর নাবিকদের জিম্মি করে জাহাজটি আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার উপকীলে নোঙ্গর করার কথা জানা গেছে।

অপহৃত জাহাজের ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান রবিন রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চরবগা রাখালিয়া গ্রামের মৃত আজহার মিয়ার ছেলে। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। এদিকে এক মাস আগে স্বামীকে হারিয়ে শোক কাটতে না কাটতে ছেলের অপহরণের খবর শুনে বাকরুদ্ধ মা।

রবিনের স্বজনরা জানান, রবিন একজন মেধাবী ভালো ছেলে। সে চট্টগ্রামে মেরিন একাডেমী থেকে পাশ করে প্রায় ১০ মাস আগে চট্টগ্রামের কেএসআরএম মালিকানাধীন একটি জাহাজে ইঞ্জিন ক্যাডেট পদে শিক্ষানবীশ হিসেবে চাকুরিতে যোগদান করেন। গেলো বুধবার জলদস্যুদের হাতে জিম্মির খবরে হতবাক স্বজনরা, আর এমন মেধাবী ছেলেকে ফিরিয়ে আনার দাবি করেন স্থানীয়রা।

আইয়ুবের বড় ভাই ওমর ফারুক রাজু জানান, গতকাল ১২ মার্চ (মঙ্গলবার) বিকেলে আইয়ুব খান  ফোন করে অপহরণের বিষয়টি তারেদরকে জানান। এরপর থেকে তার সাথে আর কোন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জিম্মিদশা থেকে রবিনকে ফিরিয়ে আনতে গতকাল চট্রগ্রামের কেএসআরএম  এর কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা চেষ্টা করছেন, তবে সময় লাগবে বলে জানান। আইয়ুবকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা চান পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে আইয়ুবের মা হোমায়রা বেগম মাস খানেক আগে নিজ স্বামীকে হারিয়ে এমনিতেই শোকাহত । তারউপর গতকাল সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে ছেলের জিম্মিদশার খবরে তিনি এখন মানসিকভাবে একেবারেই বিপর্যস্ত। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি কারো সাথেই কথা বলেন না, দেখাও দেন না। তবে ছেলেক ফিরে পেতে সরকারের প্রতি আকুতি জানান মা হোমায়রা বেগম।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: