রোজায় কদর বাড়ে মুড়ি গ্রামের ব্যবসায়ীদের
রমজানে হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা বেশি থাকায় ব্যস্ততা বেড়েছে নাটোরের মুড়ি গ্রামের ব্যবসায়ীদের। দিন রাত চলে মুড়ি তৈরির কর্মযজ্ঞ। রাসায়নিকমুক্ত এসব মুড়ির দেশ জুড়ে কদর থাকলেও ধানের দামবৃদ্ধি, মেশিনে মুড়ি উৎপাদন এবং মূলধন সংকটে ভুগছেন কারিগররা।
নাটোরের গোয়ালদিঘী-কৃষ্ণপুরের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ভাজা হয় মুড়ি। সবুজ-শ্যামল এ গ্রামের অনেক মানুষের আয়ের উৎস হাতে ভাজা মুড়ি। সারা বছর মুড়ি ভাজা হলে রোজায় কদর বাড়ে তাই গ্রামে দেখা যায় দিন রাতের ব্যস্ততা।
মুড়ির গ্রামে যাদের জমি আছে তারা মুড়ির ধান উৎপাদন করেন, তবে জমি না থাকায় অনেককে কিনে নিতে হয়।
আরও পড়ুন: পরিবারের প্রয়োজনে বাইরে থাকা মানুষদের জন্য মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ
মুড়ির গ্রামে আমন, বিনা-৭, হরিধান, ২৯ ধান, ১৬ধান, ৫২ ধানের মুড়ি উৎপাদিত হয়। এ গ্রামের প্রায় ২’শ পরিবারের এক হাজার মানুষ মুড়ি উৎপাদনের সাথে জড়িত। ধান কেনা, সিদ্ধ, শুকানো, মুড়ি ভাজা থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণের কাজগুলো করেন গ্রামের নারী-পুরুষেরা।
এখানকার মুড়ি যাচ্ছে ঢাকা, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
ব্যবসাটিকে কাঠামোগত রূপ দিতে ঋণসহ সরকারি সুবিধার দাবি মুড়ি উৎপাদনকারীদের।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: