পশু কুরবানি দিতে গিয়ে কৃষক নিজেই কুরবানি হয়ে গেলেন!
খোদার নৈকট্য লাভের আশায় কুরবানির জন্য একটি গরু লালন-পালন করে বড় করেন কৃষক আবুল হোসেন। তবে সেই ইচ্ছেই তার জীবনের কাল হয়ে গেল। প্রতিবেশীর ঈর্ষা আর ক্ষোভের শিকার হয়ে ঈদের দিন পশুর বদলে নিজেই কুরবানি হলেন। এমন ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায়।
জানা যায়, ঈদে কুরবানি দেয়ার আশায় অনেক আগে থেকেই আবুল হোসেন একটি গরু লালন-পালন করে বড় করেন। এতে ঈর্ষান্বিত হন একই এলাকার সামাদ মিয়া ও তার ছেলেরা। জীবনভর ভর্তা-ভাত খেয়ে কীভাবে ২ লাখ টাকার গরু কুরবানি দেয়! - এই বলে আবুল হোসেনের ছোট ভাইকে কটুক্তি করে তার। এই নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার চোখ উপড়ে ফেলার হুমকি দেয় সামাদ মিয়ার ছেলে আইনজীবী রুবেল।
ঈদের আগের দিন দুপুরে ছোট ভাইকে দেয়া হুমকির ব্যাপারে কথা বলতে গেলে আবুল হসেনকে রামদা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে তারা। বাড়ির সামনেই এ ঘটনা দেখতে পেয়ে আবুল হোসেনকে বাঁচাতে তার ভাই, স্ত্রী, ছেলে-মেয়েরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করা হয়।
পরে প্রতিবেশীরা তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে ঈদের দিন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল হোসেন মারা যান। গুরুতর আহত আবুল হোসেনের ভাই এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ নিয়ে পরিবারটিতে চলছে শোকের মাতাম।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া এই নির্মমতার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান নিহতের স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ এ ঘটনায় রুবেল সহ ৭ জনকে আসামি করে আখাউড়া থানায় মামলা হলেও আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে বলে তাদের অভিযোগ। তবে পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী বলেন, অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: