• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

আ.লীগ নেতা বাবুল হত্যা: লিটন ও শাহরিয়ার আলমের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

প্রকাশিত: ১২:৩০, ২৮ জুন ২০২৪

ফন্ট সাইজ
আ.লীগ নেতা বাবুল হত্যা: লিটন ও শাহরিয়ার আলমের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

রাজশাহী বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের হত্যাকারীর ইন্ধনদাতা হিসেবে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ আসাদুজ্জামান আসাদকে দায়ী করেছেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। তিনি বলেন এই খুনের সাথে দুজন স্বশরীরে ছিল। পেছন থেকে মমদদাতা হিসেবে আসাদুজ্জামান আসাদ, মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ও লায়েব উদ্দিন লাভলু নামে মামলা করা হবে। 

বৃহস্পতিবার সকালে বাঘা উচ্চ বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের নামাজে জানাজার আগে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারা। 

শাহরিয়ার আলম এমপি বলেন, ঘটনার এক সপ্তাহের আগে অভিযুক্ত যাদের নাম বললাম তাদের সাথে আসামীদের মোবাইলের কল লিস্ট মেলান। যদি দিনে ৪/৫ বার কথা না হয় তাহলে আমি সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে চলে যাব। 

তিনি বলেন, খুনি আক্কাস ও খুনি মেরাজ এদের পেছনে মদদদাতা আছে। দুই বছর আগে তাদের বহিস্কার করেছিল কেন্দ্রীয় নেতা কামাল হোসেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই ঘোষণার ৭দিনের মাথায় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের গাড়ীতে তাদের ঘুরতে দেখা গেছে। 

তিনি আরও বলেন, আমরা জবাব চাই খায়রুজ্জামন লিটনের কাছে, তিনি আজ জানাজায় উপস্থিত নেই কেন ?

এদিকে শাহরিয়ার আলমের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বলেন, এই ঘটনার সাথে জড়িত হওয়ার তার কোন সুযোগ এবং কারণ নেই। এমপি শাহরিয়ার আলম উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে তার ও আসাদের নাম জড়ানোর চেষ্টা করছে। কেন করছে সেটা তিনিই বলতে পারবেন। 

তিনি বলেন, জানাজার নামাজের মতো একটি পবিত্র জায়গায় এভাবে কথা বলা খুবই দুঃখজনক। এর আগে আমি এরকম কথা কখনো শুনিনি। জানাজায় মৃত ব্যক্তির রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করার কথা সেখানে এই ধরনের কথা দুঃখজনক। আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আমি এধরনের কথা কখনো আশায় করিনি। 

তিনি আরও বলেন, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়, কষ্টকর। আমরা একজন দলীয় নেতাকে হারালাম। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার আমিও চাই। 

লিটন বলেন, মনে হচ্ছে এই লাশটি দরকার ছিল। যাতে করে রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা যায়। এই রকম চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্র একটি গোষ্ঠির মধ্যে ছিল এবং আছে মনে হচ্ছে। এই লাইনেও তদন্ত করে দেখা দরকার। এসময় তিনি নিহতের পরিবারের পাশে থাকবেন বলে জানান। 

প্রসঙ্গত, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ২২ জুন মেয়র আক্কাস আলী ও উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলুর অনুসারীর সাথে স্থানীয় সাংসদ ও  সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ইট পাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়। পুলিশ আধা ঘন্টা ধরে রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

এ ঘটনায় নিহতর স্ত্রী বাদী হয়ে বাঘা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ সহ ৭জনকে গ্রেফতার করে। 

বিভি/এএম

মন্তব্য করুন: