• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

কুমিল্লায় দাফনের ৯ দিন পর ফিরলেন নিখোঁজ নারী!

প্রকাশিত: ২১:২১, ৩০ জুন ২০২৪

আপডেট: ২১:২২, ৩০ জুন ২০২৪

ফন্ট সাইজ
কুমিল্লায় দাফনের ৯ দিন পর ফিরলেন নিখোঁজ নারী!

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাগে দাফনের ৯দিন পর বাড়ি ফিরেছেন নিখোঁজ হওয়া রোকসানা আক্তার (৩০) নামের এক তরুণী। উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্বভপুর গ্রামের এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ফিরে আসা রোকসানা ওই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের মেয়ে।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন ঈদের দিন ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কস্থ ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজ সংলগ্ন ড্রেন থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খালাতো বোন হাজেরা আক্তার ও খালাতো ভাই শাহজাহান খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে লাশের চেহারা রোকসানা আক্তারের চেহারার সাথে মিল দেখে ভাই এবায়দুল হককে খবর পাঠান। এরই মধ্যে পুলিশ লাশটির সুরতহাল শেষে মর্গে পাঠায়। রাতেই এবায়দুল হক জিয়া মহিলা কলেজ এলাকায় পৌঁছে আশপাশের মানুষকে বোনের ছবি দেখিয়ে লাশটি একইরকম কিনা জিজ্ঞেস করলে সকলেই ছবির সাথে মিল রয়েছে বলে জানান। পরে এবায়দুল হকসহ আত্মীয়স্বজনসহ ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে লাশ উদ্ধারকারী উপ-পরিদর্শক রিমা মজুমদারের সাথে দেখা করে বোন রোকসানার ছবি দেখান। উপস্থিত সবাই পারস্পরিক আলোচনায় লাশ শনাক্ত করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ এবায়দুল হকের হাতে বোন রোকসানা আক্তারের লাশ হস্তান্তর করে।

এবায়দুল হক জানান, মে মাসের শেষ দিকে রোকসানা আক্তার চৌদ্দগ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ছোট ভাই সালাহউদ্দিনের চট্টগ্রামের ষোলশহরের বাসায় বেড়াতে যান। পহেলা জুন ভোরে কাউকে না জানিয়ে বাইরে থেকে দরজা থেকে লাগিয়ে বাসা থেকে বের হন। এরপর দীর্ঘদিন আত্মীয়স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত ১৮ জুন ফেনী থেকে উদ্ধার করা লাশকে বোন মনে করে এনে ওই দিন বাদ আছর গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল­বপুর মধ্যমপাড়ায় সামিশকরা দীঘির দক্ষিণ পাড়ে তার লাশ দাফন করা হয়। নামাজে জানাজায় ইমাম মাওলানা আবু তাহের। লাশ দাফনের ৯দিন পর গত ২৬ জুন বুধবার বিকেলে হঠাৎ ‘দাফন করা’ রোকসানা সশরীরে বাড়িতে হাজির হলে আঁতকে উঠেন সবাই। 

রোকসানা বলেন, কে বলছে আমি মারা গেছি? আমি ঢাকায় ঘুরতে গেছিলাম। শরীর খারাপ থাকায় কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। আমি চট্টগ্রাম ভাইয়ের বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে ঢাকায় চলে যাই। সেখানে গিয়ে আমি একটি চাকরি পেয়েছি। যেহেতু আমি বাড়ি থেকে কোন কাপড় নিয়ে যাইনি, তাই কাপড় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়িতে ফিরে আসি।

এ ব্যাপারে রোকসানার ভাই এবায়দুল হক গত বুধবার বিকেলে রোকসানা জীবিত বাড়ি ফিরলে ফেনী মডেল থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, র‌্যাবের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত লাশের আঙুলের চাপ নিলেও তা শনাক্ত করা যায়নি। তাহলে লাশটি কার? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী কী করা যায়, সেভাবে কাজ করে শনাক্ত করা হবে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বলেন, তরুণী নিখোঁজ, উদ্ধার, দাফন ও আবার ফিরে আসার বিষয়ে কেউ আমাকে অবগত করেনি। খবর নিয়ে দেখবো-আসলে কি ঘটেছে।

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন: