• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ঘোষণা দিয়ে দুই চেয়ারম্যানের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৩:২৮, ২৭ জুলাই ২০২৪

ফন্ট সাইজ
ঘোষণা দিয়ে দুই চেয়ারম্যানের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

গোপালগঞ্জে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। মারাত্মক আহত ২০ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা জানান, জালালাবাদ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম মারুফ রেজা ও সাবেক চেয়ারম্যান এম সুপারুল আলম টিকের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।  শুক্রবার সকালে সাবেক চেয়ারম্যান এম সুপারুল আলম টিকের সমর্থক হিমু মোল্যার লোকজন বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম মারুফ রেজার সমর্থক রহমান মোল্লাকে ধাওয়া দেয়।

পরে সাবেক চেয়ারম্যান অপর সমর্থক ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার সাইদুল মোল্যা ও তার ভাইসহ অন্যান্যরা বর্তমান চেয়ারম্যানের অপর সমর্থক স্বপন মোল্লা ও তার ছেলে সেতু মোল্যাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিকালে দুই পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়েছে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষে মারাত্মক আহত স্বপন মোল্যা (৬০), রাসেল মোল্যা (৩৫), বশার মোল্যা (৩৫), আনিস মোল্যা (২৫), জুয়েল মোল্যা (৩০), আয়ুব শেখ (৪৫), সেতু মোল্যা (২৩), ফরিদ মোল্যা (৬০), টুলু মিল্লিক (৫০), আরিফ মোল্যা (৬৫), কেরামত মোল্যাসহ (৮০) ২০ জনকে ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী আহতরা অন্যান্য ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

জালালাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম সুপারুল আলম টিকে বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম মারুফ রেজার সমর্থকেরা আমার লেঅকজনের উপর হামলা চালায়। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জালালাবাদ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম মারুফ রেজা বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান এম সুপারুল আলম টিকের উপস্থিতিতে আমার লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষ সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। আমার পক্ষের অন্তত ২৫জন আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: