• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ভুয়া কমিটি করে মসজিদের জমি বিক্রি! প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ

সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:৪১, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফন্ট সাইজ
ভুয়া কমিটি করে মসজিদের জমি বিক্রি! প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ভুয়া কমিটি করে মসজিদের জমি বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কাদির ও মিজান গংদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহকারি জজ আদালয়ে মোতাওয়াল্লীর পক্ষে রুহুল আমীন বাদী হয়ে একটি দেওয়ানী মামলা করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।  

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৮ সালে উপজেলা সাদিপুর ইউনিয়নের নানাখী পূর্বপাড়া জামে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৮ মে ১৯৭৮ সালের ১২৯২৬ নং দলিলের ২ নং পাতায় মরহুম আব্দুল হামিদ মাস্টার একটি কমিটি গঠন প্রদ্ধতি লিপিবদ্ধ করে যান। মসজিদের কমিটির গঠনের পদ্ধতি ছিলো আব্দুল হামিদ মাষ্টারের  তিন মেয়ে ও দুই ছেলের পর্যযানুক্রমে ওয়ারিশদের মধ্যে ব্যারেস্টার রাবেয়া ভূইয়ার স্বামী ব্যারিস্টার মোজ্জামেল হক ভূইয়া সভাপতি ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তার বড় ছেলে আজিজ আহম্মেদ এই মসজিদটি সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। 

পরে আব্দুল হামিদ মাস্টারের ২য় ছেলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জৈষ্ঠ্য আইনজীবী ড.কাজী আকতার হামিদ এই মসজিদের সভাপতি হিসাবে স্থলাভিশিক্ত হন। আইনগত ভাবে এর বাহিরে কোন কমিটি করার কোন সুযোগ নেই। বর্তমানে কমিটি থাকলেও গত ১৩ নভেম্বর ১৫ সালে একই পরিবারের ১০ জন কে নিয়ে একটি ভূয়া কমিটি গঠন করে। পরে ১১ শতাংশ জমি আমানউল্লাহর নিটক ১৬৩০৪ দলিলমূলে সাব-বিক্রয় করিয়া ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন তারা। পরবর্তীতে আবারো দুইটি দলিলধারা আরো ১১ শতাংশ জমি বিত্রয় করেন।

মসজিদের ওয়াকফকৃত জমি ভূয়া কমিটিত বানিয়ে বিক্রয় করায় গতকাল রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী জজ আদালতে বর্তমান মসজিদ কমিটির সভাপতি জৈষ্ঠ্য সিনিয়ির আইনজীবী ড.কাজী আকতার হামিদের পক্ষে রুহুল আমিন বাদী হয়ে একটি দেওয়ানী মামলা দয়ের করেন। যার মামলার নম্বার ২৬২/২০২৪।  যার জমির মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা ।

এ বিষয় মামলার বাদী রুহুল আমিন বলেন, উপজেলা নানাখী পূর্বপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি ড.কাজী আকতার হামিদ মামা। কাদির ও মিজান গংরা মসজিদের ওয়াকফকৃত জমি বিক্রয় করার জন্য একটি অবৈধ ও ভূয়া কমিটি করে ভূয়া দলিলের মধ্যে ২২ শতাংশ জমি বিক্রয় করেন। যার মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা। মসজিদের পুরো টাকা কাদির,মিজানুর রহমান ,হাবিবুর রহমান ,আনোয়ার হোসেন, জাকির মাস্টার,মোজ্জামেল মিয়া ও রাজুরা আত্মসাৎ করেন। মসজিদের জমি উদ্ধরের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য বর্তমান মোতাওয়াল্লির পক্ষে আমি একটি দেওয়ানী মামলা করি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ এসেছে। এ ব্যাপারে উভয় পক্ষের সাথে বসে শুনানি করা হবে। সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুুদুল হক বলেন, অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: