• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন পদ্মাপাড়ের দেড় হাজার পরিবার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:৩৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফন্ট সাইজ
এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন পদ্মাপাড়ের দেড় হাজার পরিবার

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে দেখা দেয়া ভাঙ্গণে পল্লী বিদ্যুতের খাম্বা পড়ে যাওয়ায় এখনো বিদ্যুৎ বিহিন অবস্থায় রয়েছে চরাঞ্চলের প্রায় দেড় হাজার পরিবার। উপজেলার বাবুপুর, সাত্তার মোড়, নিশিপাড়া, কদমপাড়া, সেতারাপাড়া শেয়ালপাড়া ও চরলক্ষ্মীপুরসহ বেশ কিছু গ্রামে বিদ্যুৎ নেই এখনো। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পদ্মাপারের বাসিন্দারা। তবে নদীর পানি কমলে অফগ্রীড এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করতে প্রায় মাস খানেক সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতে কারেন্টের খাম্বা পড়ে যাওয়ায় এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক কাজ কর্মে ব্যাঘাত ঘটেছে। বেশি সমস্যা হচ্ছে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার। আর নিজ এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ব্যাটারি চালিত ভ্যান চালকরা শহরে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ভ্যান চার্জ করতে দিয়ে আসছেন। এতে একদিকে তারা কিছুটা কর্মহীন হচ্ছে, আর আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থও হচ্ছে। এদিকে খাম্বা পড়ে যাওয়ার বিষয়টি সাথে সাথে কানসাট পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি তারা বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর।

এ বিষয়ে পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, প্রায় এক মাস আগে পদ্মা নদীর তীরে সাত্তার মোড়ের একটি খাম্বা প্রবল স্রোতের কারণে নদীতে পড়ে যায়। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানোর পরও মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এতে প্রচন্ড গরমে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে এই এলাকার বাসিন্দাদের। বিদ্যুতের অভাবে দোকান ও বাসাবাড়ির ফ্রিজের খাবারও নষ্ট হচ্ছে।

তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, আকস্মিক পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি হলে শিবগঞ্জের সাত্তারের ঘাট এলাকায় ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়। এতে সেখানে থাকা একজোড়া বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়ে। ফলে সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে মাইকিং করে অফগ্রীড এলাকা নিশিপাড়া চরে প্রায় দেড় হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। বর্তমানে সেখানে শুকনো জায়গা না থাকায় ও স্রোতের কারণে খাম্বাটি পুণঃস্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। নদীতে পানি কমলে দ্রæতই ওই লাইন মেরামত করে নিশিপাড়া চরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এই লাইন মেরামতে প্রায় মাস খানেক সময় লাগতে পারে বলে ধারণা প্রকৌশলীর।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: