গুলিতে নিহত আবু সাঈদ: পুলিশের মামলার আসামি ১০ শিশু কেমন আছে?
জুলাইয়ে সরকারবিরোধী গণক্ষোভ হয়ে উঠেছিলো বারুদ। তারুণ্যের উত্তাল তরঙ্গে পতন হয় স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় পুলিশের মামলায় দুর্বিষহ দিন কাটছে রংপুরের দশ শিশু শিক্ষার্থীর।
দেশ ছেড়ে পালানোর আগে মামলা প্রত্যাহারের মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এখন নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে তাদের। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছে না। ভাঙছে কোমল মন। শঙ্কায় স্বজনরা।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেয়ার অপরাধে রংপুরে দশ শিশুকে আটক করে শেখ হাসিনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে নেয় পুলিশ। ১৮ দিন জেলখানায় বন্দি থাকার পর জামিনে ছাড়া পায় এ শিশুরা।
সাড়ে তিন মাসেও প্রত্যাহার হয়নি শিশু শিক্ষার্থীদের মামলা। কারন খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মহানগর পুলিশ কমিশনার। আর কোটা আন্দোলনে হয়রানীমূলক মামলা তদন্ত করে ন্যায় বিচারের প্রতিশ্রুতি জেলা প্রশাসকের।
আসামি আলফি শাহরিয়ার মাহিম, মাওবিন হাসান মুহিন, রাকিব হোসাইন, আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের, আমির হামজা, তৌফিক ওমর ধ্রুব, পাভেল মিয়া, আল মারজান, নিয়াজ আহাম্মেদ রকি ও সৌরভ মিয়া স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: