অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে ভাগ্নেকে হত্যা করলো মামা

চট্টগ্রামে মুক্তিপণ না পেয়ে ভাগ্নেকে অপহরণের পর হত্যা করে সাতকানিয়ার বিলে ফেলে দেন মামা। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আপন ভাগ্নে মো. এককরামকে বেড়াতে নেওয়ার নাম করে অপহরণের ১৩ দিন পর চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সাতকানিয়ার কালিয়াইশ ইউনিয়নের পাঠানি পুলের পূর্ব পার্শ্বে গড়লা খালের পাড়ের কৃষি জমি থেকে ওই কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার অপহরণকারী মামা মো. কামাল হোসেনের দেখানো মতে, উখিয়া থানা পুলিশ সাতকানিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় গড়লা খালের পাড়ের কৃষি জমি থেকে ওই কিশোরের লাশ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, নিহত একরাম কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ১০ নম্বর ক্যাম্পের জি-৩৭ ব্লকের মো. ইদ্রিসের ছেলে। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত রোহিঙ্গা যুবক কামাল একই উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বি-১০ ব্লকের আবুল কাশেমের ছেলে। সে সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নে একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। নিহত ও খুনি সম্পর্কে আপন মামা-ভাগিনা।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহেদুল ইসলাম জানান, অপহরণের সাথে জড়িত কামাল উদ্দিনকে গত ১৩ এপ্রিল সাতকানিয়ার নয়াখাল এলাকার একটি ইটভাটা থেকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে আজ উখিয়া ও সাতকানিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঠানিপুল এলাকা থেকে কিশোরটির লাশ উদ্ধার করে। লাশটি উদ্ধারের পর উখিয়া থানা পুলিশ নিয়ে গেছে।
নিহত একরামের বড় চাচা মো. ইউনুস জানান, আমার ছোট ভাইয়ের শ্যালক মো. কামাল ৩ এপ্রিল আমার ভাইপো একরামকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ক্যাম্প থেকে নিয়ে যায়। পরে কামাল ভাইপো একরামকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ইদ্রিসের বাবার কাছে মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ দাবি করে। ইদ্রিস মুক্তিপণ দিতে রাজি হয়নি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও একরামকে পাওয়া যায়নি। ১৪ এপ্রিল রাতে ইদ্রিস বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উখিয়া থানা পুলিশ কামালকে একই রাতে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় একরামকে খুন করেছে বলে স্বীকার করে। পরে কামালের দেখানোর মতে সাতকানিয়া এলাকার একটি বিল থেকে একরামের লাশ উদ্ধার করে উখিয়া থানা পুলিশ।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: