অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন শেখ হাসিনা জাদুঘরে পাঠিয়েছিলো: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘দেশের জনগণ শেখ হাসিনার পতন দেখতে চেয়েছেন এবং ভালো একটি সরকার দেখতে চেয়েছে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। কারণ, এই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনটা শেখ হাসিনা জাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছিল। এই জাদুঘর থেকে বের করে আবার অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। সেই বিশ্বাসটা ড. ইউনূস সাহেবের কাছে রেখেছেন জনগণ। তিনি এই কাজটি করবেন। কারণ, তিনি আন্তর্জাতিক সম্মানপ্রাপ্ত মানুষ।’
শনিবার সকাল ১০টার দিকে জিয়া পরিষদের আয়োজনে নাটোর জেলা পরিষদ অডিটেরিয়ামে ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। নাটোর জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও নাটোর জিয়া পরিষদের সভাপতি আহমুদুল হক চৌধুরী স্বপন-এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী মহাসচিব প্রফেসর ড. মো. এমতাজ হোসেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরো বলেন, ‘নির্বাচন যদি দোদুল্যমান বা দুলতে থাকে, ডিসেম্বর না মার্চ হয় তাহলে এটা পলিটিক্যাল ডিটারমিনেশন। একটি সরকারের যে দৃঢ় সংকল্প এবং অঙ্গীকার যেটা জনগণের আস্থা বাড়ায় তা অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়বে। তা কোনদিন কারো কাম্য হতে পারে না।’
সেমিনারে প্রধান বক্তার বক্তব্যে অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘যারা এই নির্বাচনকে দেরি করানোর জন্য এই একটা চক্রান্ত করছে আমি তাদের বলতে চাই। বাংলাদেশের জনগণকে যদি বোকা ভেবে থাকেন তাহলে তারা বোকার স্বর্গে আছেন। বাংলাদেশের জনগণ একটি স্বচ্ছ নির্বাচন চান। অনেকদিন থেকে ভোট দিতে পারেননি। তাই আপনারা অতি সত্তর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। কারণ, তারেক রহমান-এর ৩১ দফার মধ্যে সকল সংস্কার রয়েছে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, জিয়া পরিষদের রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম বিল্পবসহ পরিষদের নেতারা। এর আগে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করেন নেতাকর্মীরা।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: