ইউনূস সরকারের প্রশাসনে আ. লীগের পুনর্বাসন হচ্ছে: আসাদুজ্জামান রিপন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, বর্তমান ইউনূস সরকারের প্রশাসনে ধীরে ধীরে পতিত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চালু হয়ে গেছে। সরকারের মধ্যে নানাভাবে কখনো উপদেষ্টার নামে, কখনো বিশেষ সহকারীর নামে আওয়ামী লীগের লোকজনের পুর্নবাসন হচ্ছে।
তিনি শুক্রবার বিকেলে লৌহজংয়ের পদ্মাপাড়ে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবেে তিনি এসব কথা বলেন। উক্ত সমাবেশে সারাদেশে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ, নদী শাসন করা ও শিমুলিয়া ঘাটে আন্তর্জাতিক মানের কনটেইনার পোর্ট ও হাসপাতাল নির্মাণ, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
আসাদুজ্জামান রিপন আরও বলেন, যারা শেখ হাসিনার সহযোগী ছিলেন, দুর্নীতির সহযোগী ছিলেন, যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল এবং শেখ হাসিনাকে নানাভাবে উৎসাহ দিয়েছেন, যারা শেখ হাসিনাকে ‘বেশ বেশ’ বলে হাতে তালি দিয়েছেন, তারা ইউনূস সরকারের প্রশাসনে যুক্ত হয়ে যাচ্ছেন। এতে দেশের ভাবমূর্তির ক্ষতি হচ্ছে।
বক্তৃতায় তিনি শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় নদী বন্দর, লঞ্চঘাট, দোকানপাট, এবং গাড়ী পাকিং এর নামে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। দ্রুত সময়ে ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলন করার হুমকি দেন। এছাড়াও এই বছরের মধ্যে শিমুলিয়া ঘাটে আন্তর্জাতিক মানের নৌ বন্দর নির্মাণ কাজ শুরু হবে ঘোষণা দেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, অবিলম্বে আপনার সরকারে আওয়ামী লীগের অনুগত যারা আছেন তাদেরকে বের করে দিতে হবে। এই সরকারকে আমরা এই মাসটি সময় দিতে চাই। প্রশাসনের মধ্যে বিচার বিভাগে, পুলিশে ও নানান জায়গায় যারা লুকিয়ে আছেন চিহ্নিত ও অচিহ্নিত, দ্রুত তাদেরকে বিদায় করেন। অন্যথায় তারা সরকারকে অস্থিশীল করবে।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ৫ আগস্টের চেতনা বিতর্কিত হয়ে যাচ্ছে। ৫ আগস্ট হয়েছে স্বেরাচারী সরকার হটানোর জন্য নয়, স্বৈরাচারী ব্যবস্থাকে কবর দেওয়ার জন্য। ভবিষ্যতে যেন কোনো সরকার স্বৈরাচারী কোন পদক্ষেপ না নিতে পারে, এ কারণেই ৫ আগস্টে অভ্যুত্থান ঘটেছে।
তিনি আরোও বলেন, এই লৌহজৎ উপজেলায় এক সময় ১৪টি ইউনিয়ন ছিল। এখন মাত্র ১০টি ইউনিয়ন। বাকি ৪টি ইউনিয়ন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গ্রাম, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, নদীতে বিলীন হচ্ছে। তাই, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। আমি কোন কোম্পানির মালিক নই। আমি এমপি, মন্ত্রী হতে পারলে কোন কোম্পানির উন্নয়ন করবো না, জনগণ ও এলাকার উন্নয়ন করবো।
হলদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামাল খান’র সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: