১৪৪ ধারা, সমাবেশ করতে পারছে না বিএনপি

পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজকে (২৮ ডিসেম্বর) বেগম খালেদা জিয়া’র মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নওগাঁয় সমাবেশ হওয়ার কথা ছিলো। ঢাকা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ঢাকা থেকে সিনিয়র নেতারা গিয়েছেন সেখানে।
বিকাল ২টায় একই সময়ে নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে জেলা যুবলীগও কর্মসূচি ঘোষণা করে। এরপর জেলা বিএনপি শহরের এ-টিম মাঠে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানেও জেলা ছাত্রলীগ কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। পরে নওগাঁ শহরে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় সমাবেশ করতে পারছেনা বিএনপি।
পরে স্থানীয় একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, এই সবের অর্থ কি, দেশবাসী সবাই বুঝে। দেশে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও মতের মানুষের বাকস্বাধীনতা বলতে কিছু নেই-তা আবারও প্রমাণ করলো আওয়ামী লীগ সরকার। তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমরা চাইলে এই নওগাঁতে কর্মসূচি করতে পারি- সেই সক্ষমতা আমাদের আছে। কিন্তু আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। একটা কথা আছে- নিভে যাওয়ার আগে বাতি ধপ করে জ্বলে উঠে। এই সরকারেরও সেই অবস্থা।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে পথ চলতে চাই। সেই পথে চলতে গিয়ে যখন বাধাপ্রাপ্ত হবো, তখন আর নিয়মের তোয়াক্কা করবো না। আজ কর্মসূচি করার বিষয়ে প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাইছি, সেইদিন হয়তো অনুমতিও চাইতে নাও পারি। প্রশাসন যদি জনগণের মুখোমুখি হতে চায় সেই চ্যালেঞ্জ অব্যশই মোকাবিলা করতে হবে।
এই সময় তার সংগে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
সরকারের সমালোচনা করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সম্প্রতি এই সরকারের একজন পদত্যাগী প্রতিমন্ত্রীকে কানাডা গ্রহণ করেনি। কোথাও তার জায়গা হয়নি।
সরকারকে বলবো, যেহেতু পালাতেও পারবেন না, দেশেই থাকতে হবে তাহলে জনগণের সংগে আপোস করেন। দেশের মানুষের অধিকার ফেরত দেন, ক্ষমতায় থাকেন বা নাই থাকেন শান্তিতে থাকার ব্যবস্থা করেন। দেশে অশান্তি সৃষ্টি করলে ফলাফল ভালো হবে না। আমাদের অবস্থা খারাপ হওয়ার কিছু নাই। গত ১২ বছর ধরেই তো খারাপ অবস্থায় আছি। মৃত্যুই যেখানে অবধারিত, সেখানে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
দলের অবস্থান তুলে ধরে গয়েশ্বর বলেন, আমরা বেগম খালেদা জিয়া’র মুক্তি চাই, বিদেশে তার চিকিৎসা চাই। আমরা নির্দোলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনে দেশের জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। দেশের মালিক জনগন, আমরা জনগণের মালিকানা ফেরত চাই। কোনো ব্যক্তি দেশের মালিক নয়, অতএব ব্যাক্তির ইচ্ছা অনুযায়ি দেশ চলতে পারে না।
বিভি/এনএম/রিসি
মন্তব্য করুন: