শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবিঃ চালক ও মালবাহী জাহাজ আটক

নারায়ণগঞ্জের কয়লাঘাটে মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ আশরাফ উদ্দিন। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বেশ কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে উঠতে পারলেও বাকিরা নিখোঁজ। এখনো উদ্ধার অভিযান চলমান। এ ঘটনার পর এমভি রুপসী-৯ মালবাহী জাহাজ ও এর চালককে আটক করা হয়ছে।
রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যাওয়া এমভি আশরাফ উদ্দিন নামের লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ যাচ্ছিল। পথে আলামিন নগর ব্রিজের কাছে এমভি রূপসী- ৯ নামের একটি পণ্যবাহী জাহাজ-লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঠিক কত জন যাত্রী ছিল তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। তবে শতাধিক ধারণক্ষমতার লঞ্চটি যাত্রীতে পূর্ণ ছিল।
ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, বিআইডাব্লিউটিএর যৌথ উদ্ধার অভিযানে দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পরই লঞ্চটির অবস্থান সনাক্ত করেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কার্গো জাহাজের মাস্টারের অসতর্কতায় ঘটেছে এ দুর্ঘটনা।
এদিকে লঞ্চডুবির কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের কমিটি করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (বিআইডব্লিউটিএ) আ ন ম বজলুর রশীদকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয় বলে মন্ত্রণালয়ে অফিস আদেশে বলা হয়েছে।
কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে। আর সদস্য হিসেবে রয়েছেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের নটিক্যাল সার্ভেয়ার অ্যান্ড এক্সামিনার ক্যাপ্টেন আবু সাইদ মো. দেলোয়ার রহমান।
আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে মন্ত্রণালয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কারণ উদঘাটন এবং দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি-সংস্থাকে চিহ্নিত করতে হবে কমিটিকে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: