বিয়ের আশ্বাসে হোটেলে নিয়ে মিলন, শিক্ষকের বাড়িতে অনশনে তরুণী

বিয়ের দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়েছেন এক তরুণী। ওই তরুণীকে সামলাতে না পেরে সপরিবারে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন ওই শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়নের গুয়াদানা গ্রামে।শনিবার (২৬ মার্চ) সকালে ওই ঘটনায় গ্রামজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
জানাগেছে, অভিযুক্ত সুকান্ত মণ্ডল উপজেলার ঘোষেরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এবং তিনি
গুয়াদানা গ্রামের সুনীল মণ্ডলের ছেলে।
বিয়ের দাবিতে অনশনে থাকা তরুণী জানান, আমাকে প্রস্তাব দিলেও আমি সুকান্তের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে চাইনি। কিন্তু সে তার বন্ধু পূর্ণেন্দু ও রমেনকে দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। তারপর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময় ঢাকা ও সুন্দরবনের বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে আমি রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে বিয়ে করতে অস্বীকার করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সুকান্ত।
আরও পড়ুন:
- ‘সুন্দরী কুলসুমকে’ হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
- ‘কথা আছে’ বলে ডেকে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা শিক্ষকের
ওই তরুণী আরও জানান, এই বিষয়ে আমি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে গিয়েও কোনো সমাধান পাইনি। তাই আমি বিয়ের দাবিতে অনশন করছি। আমি সুকান্তকে বিয়ে করে তবেই এখান থেকে উঠবো।
অভিযুক্ত শিক্ষক সুকান্ত মন্ডলকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বাড়িতে গিয়েও ঘরটি তালাবদ্ধ থাকায় পরিবারের কারও বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি তন্ময় মণ্ডল বলেন, এ বিষয়ে ওই তরুণী থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: