আশার কোল শূন্য করে চলে গেলো আরও এক শিশু

প্রতীকী ছবি
বিয়ের ৮ বছর পর একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার নবজাতকের মধ্যে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৭ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে কন্যা শিশুটি মারা যায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মারা যায় একটি কন্যা শিশু এবং বুধবার দুপুরে মারা যায় ছেলে সন্তানটি।
এই নিয়ে চার সন্তানের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হলো। জীবিত থাকলো কেবল একটি কন্যা শিশু।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই শিশুদের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক মনিকা মজুমদার।
তিনি বলেন, গর্ভধারণের ৩২ সপ্তাহে শিশুগুলোর জন্য হয়। এই কারণে তাদের শারীরিক ওজন কম ছিলো। রবিবার মারা যাওয়া ওই শিশুর ওজন ছিলো ৭০০ গ্রাম। তাকে বাঁচানো যায়নি। তবে অন্য শিশুটি ভালো আছে। তার চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুন:
- ভোটার হালনাগাদ: ২০ মে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু
- কলেজ ছাত্রী প্রীতি ও আ.লীগ নেতা টিপু`র ঘাতক মাসুম গ্রেফতার
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন আদুরী বেগম আশা।
জন্মের পর ওই চার নবজাতককে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। আদুরী বেগম আশা কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নাদিরা গ্রামের মনিরুজ্জামান বাঁধনের স্ত্রী।
হাসপাতাল ও ওই নারীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নাদিরা গ্রামের মনিরুজ্জামান বাঁধনের সঙ্গে ৮ বছর আগে বিয়ে হয় আদুরী বেগম আশা’র। দীর্ঘ ৮ বছরেও তাদের কোনো সন্তান জন্ম হয়নি। পরে চিকিৎসা গ্রহণের পর আদুরী বেগম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। গত ১ মার্চ আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় দেখা যায়, তার গর্ভে ৪টি সন্তান রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে প্রসববেদনা উঠলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চার সন্তানের জন্ম দেন আশা।
বিভি/জেইউ/এএন
মন্তব্য করুন: