সাকিব এগ্রো ফার্মের বিরুদ্ধে চুক্তি শেষে জমি ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ

ফাইল ছবি
পাঁচবছরের চুক্তি’র মেয়াদ শেষ হওয়ার দু’বছর পেরিয়ে গেলেও হারির (লিজের) টাকা ও জমি ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অবস্থিত সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্মের জমির মালিকরা মানববন্ধন করেছেন। এতে ৪০ বিঘা জমির অন্তত ১৬ জন মালিক মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কোন উপায় না পেয়ে তারা হারির টাকা ও জমি ফেরত পেতে মানববন্ধন করেছেন।
শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন দাতিনাখালীতে অবস্থিত সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্মের সামনে বৃহস্পতিবার দুপুরে এনিয়ে মানববন্ধন করেছে জমির মালিকরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৬ সালে ১২ হাজার টাকা বার্ষিক চুক্তিমূল্যে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সগীর হোসেন পাভেল ও ব্যবসায়ী এমদাদের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্মের নামে জমি লিজ দেন তারা। ২০২০ সালে ওই লিজের মেয়াদ শেষ হলেও এখনও জমির মালিকদের লিজের টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে জমিও ফেরত দিচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি। এনিয়ে ২০২০ সালেও জমির মালিকদের পূর্বের টাকা আদায়ের জন্য আন্দোলনে নামতে হয়েছিলো। সে সময় ফার্মের মূলফটক থেকে সাকিব আল হাসানের নাম মুছে ফেলা হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি জমির মালিকদের অগোচরে অন্যত্র হস্তান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন জমির প্রকৃত মালিকরা।
বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন হারির টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন জমির মালিকেরা। তারা অবিলম্বে জমি লিজের টাকা ও জমি ফেরত পাওয়ার দাবি জানান।
এসময় বক্তব্য রাখেন, জমির মালিক খালেক ঢালী, এনছার ঢালী, মোহর আলী কয়াল, সাইফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এবিষয়ে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সগীর হোসেন পাভেল জানিয়েছেন, বর্তমানে ফার্মটির সঙ্গে সাকিব আল হাসানের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা যাবতীয় পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য দুই মাস সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই জমির মালিকরা এসব করছে।
প্রসঙ্গত, রপ্তানিমুখী কাঁকড়া উৎপাদনের জন্য ২০১৬ সালে সুন্দরবন সংলগ্ন দাতিনাখালীতে সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্ম নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সগীর হোসেন পাভেল ও ব্যবসায়ী এমদাদ। প্রতিষ্ঠানটিতে অন্তত ২০০ মানুষের কর্মসংস্থান হতো। এর আগে ২০২০ সালে বকেয়া বেতনের দাবিতে কর্মচারীরা আন্দোলনে নামলে বিসিবির হস্তক্ষেপে ও স্থানীয় ক্রীড়াবিদদের মধ্যস্থতায় কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়।’
জমির মালিকরা জানান, ‘জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সগীর হোসেন পাভেলের দাবি সত্য কি মিথ্যা তা আমরা বলতে পারছি না। তবে লিজ দলিলে এক নম্বরে আছে সাকিব আল হাসানের সই। শুধু তাই নয়, এর আগে সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে যখন লিজের টাকা ও জমি ফেরত দেওয়ার সমঝোতার হয় তখন সাকিব আল হাসানের বাবা খন্দকার মাশরুর রেজা উপস্থিত ছিলেন।’
বিভি/এজেড/এইচএস
মন্তব্য করুন: