বাঁধ ভেঙে হাওরে ঢুকছে পানি, ঝুঁকিতে ২ হাজার হেক্টর জমির ফসল

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে উজানের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জির ভারী বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জে নদ-নদী ও হাওরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত। রবিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ঢলের পানি হাওরের পাড় (কান্দা) উপচে তাহিরপুর উপজেলার বর্ধিত গুরমার হাওরে পানি ঢুকছে। এতে হাওরের ২ হাজার হেক্টর জমির ফসল ঝুঁকিতে পড়েছে।
বিকেল ৪টার দিকে এ বাঁধ ভেঙে যায় বলে স্থানীয় কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে। এর আগে সকাল ৮টায় ওয়াচ টাওয়ার-সংলগ্ন বাঁধের ওপর দিয়েও গুরমা হাওরে পানি প্রবেশ শুরু করে। টাঙ্গুয়ার হাওরের ২৭ নং পিআইসি ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে বর্ধিত গুরমা হাওরে পানি ঢুকে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টাঙ্গুয়ার হাওরের ২৭ নং পিআইসি ফসল রক্ষা বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় স্থানীয় কৃষক ও প্রশাসন কাজ করছিল কয়েক দিন ধরে। তবে টাওয়ার-সংলগ্ন হাওর সংরক্ষিত এলাকা হওয়ায় উপচে পানি ঢোকা অংশে বাঁধ নির্মাণে বিধিনিষেধ ছিল। তাই এই অংশে বাঁধ নির্মাণ করেনি প্রশাসন।
তবে পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রোববার সকাল থেকে ওয়াচ টাওয়ার-সংলগ্ন কান্ধা (প্রাকৃতিকভাবে থাকা উঁচু রাস্তা) দিয়ে বর্ধিত গুরমা হাওরে পানি ঢোকা শুরু হয়। এরপর বিকেল ৪টার সময় নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ২৭ নং ফসল রক্ষা বাঁধের মূল অংশ গাছসহ ভেঙে যায়।
কৃষি অফিস জানায়, বাঁধ উপচে হাওরে পানি ঢোকার ফলে হাওরের জমি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবীর জানান, পাটলাই নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে। অবশেষে বিকেলে বাঁধটা ভেঙে গেল।
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, কয়েক দিন ধরে আমরা এই বর্ধিত গুমরা হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ রক্ষার জন্য কাজ করেছি। আজ বিকেল চারটার দিকে বাঁধটি অবশেষে ভেঙে যায়। জেলা প্রশাসক মহোদয় আসার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: