পর্যটকের ঢল সাজেকে

ভূ‚-স্বর্গ সাজেকে পর্যটকের ঢল নেমেছে। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারতের মিজোরাম রাজ্য সন্নিহিত প্রাকৃতিক রূপে রূপময় সাজেক সমতল ভ‚মি থেকে প্রায় দুই হাজার ফুট উচু পাহাড়ের চুড়ায় সাজেক অবস্থিত। পাহাড়ের চূড়া থেকে মিজোরামের লুসাই পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য, আকাশ-পাহাড়ের মিতালী ও শুভ্র মেঘের খেলা দেখতে সাজেকের রুইলুই, কংলাক ও ঐতিহ্যবাহী লুসাই গ্রামে হাজারো পর্যটক ভীড় করেছেন। পর্যটকের ভীড়ে সাজেকের হোটেল-রিসোর্ট ও কটেজ আগামী ৭ মে পর্যন্ত খালি নেই।
সাজেকে সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে নয়নাভিরাম নানান দৃশ্য। সাজেকের রয়েছে, ঢেউ খেলানো অসংখ্য উচ্চু-নিচু পাহাড় বেষ্টিত হৃদয়গ্রাহী সবুজ বনানী পূর্ণ। রাস্তার দু’ধারে-চোখে পড়বে উপজাতীয়দে বসত বাড়ি ও তাদের বিচিত্রময় জীবন ধারা। সাজেকের সূর্যোদয় ও পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে শুভ্র মেঘের খেলা সত্যি অপূর্ব। মহামারি করোনার ধকল কাটিয়ে দুই বছর পর সাজেকে আসতে পেরে মুগ্ধ পর্যটকরা। রাতের সাজেকের দৃশ্য আরও রোমাঞ্চকর।
বাড়তি পর্যটকদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ মালিকরা। দীর্ঘ দুই বছর পর বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমে খুশি তারা।
সাজেক হোটেল, রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি জয় চৌধুরী বলেন, ৩ মে থেকে সাজেকে পর্যটকদের আগমন শুরু হয়েছে। বর্তমানে সাজেকের সবগুলো রিসোর্ট-কটেজ ফুল ফিলাপ। ৭ মে পর্যন্ত এই অবস্থা থাকবে। তিনি বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শংকা নেই। সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ পর্যটকদের সব ধরনের নিরাপত্তা দিচ্ছে।
সাজেক বিলাস রিসোর্টের মালিক জ্ঞান জ্যোতি চাকমা বলেন, এক সপ্তাহ ধরে সাজেক ভ্যালিতে পর্যটকের চাপ যাচ্ছে। বলতে গেলে সাজেকে কোনো রিসোর্ট ও কটেজ খালি নেই। এভাবে পর্যটকের স্রোত অব্যাহত থাকলে মহামারি করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।
সাজেক রাঙ্গামাটি জেলার অন্তগত হলেও জেলা সদরের সাথে এখনো প্রায় বিছিন্ন। সাজেক বাসীকে নিজ জেলা সদর রাঙ্গামাটি যেতে হলে প্রায় ১ শ ৪০ কিলোমিটার দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে খাগড়াছড়ি জেলার উপর দিয়ে যেতে হবে। আর খাগড়াছড়ির সাথে সাজেকের দুরুত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। এই কারণে খাগড়াছড়ি জেলার পর্যটন স্পটগুলোও হাজারোও পর্যটকদের পদভারে মখুর হয়ে উঠেছে।
মেঘের রাজ্য সাজেক আপনাকেও ডাকছে। আপনিও আসতে পারেন সাজেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। তবে আসার আগে থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে আসবেন।
বিভি/এএন
মন্তব্য করুন: