স্বামী-স্ত্রীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণ চেষ্টা

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে স্বামীর পাশে শুয়ে থাকা গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এতে সন্তানসম্ভবা ওই গৃহবধূর দুই মাসের গর্ভফুল নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অসুস্থ ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের কমলেশ্বরদী কাজী পাড়া গ্রামের এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অন্যদিকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভিকটিমের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, গত ৮ মে রাত সাড়ে আটটার দিকে একই গ্রামের সোবান শেখ নামে এক ব্যক্তি পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে বাড়িতে এসে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামীকে এনার্জি ড্রিংক জাতীয় কিছু পান করিয়ে অচেতন করে ফেলে। এরপর স্বামীর পাশে থাকা ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এতে ওই নারী বাঁধা দিতে থাকলে তাকে গালিগালাজ করে ও ভয়ভীতি দেখায়। এদিকে, ঘটনার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকলে ওই গৃহবধূকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার আলট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। রির্পোটে তার গর্ভের সন্তান এবোরশন অবস্থায় রয়েছে দেখা যায়। বিষয়টি আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই গৃহবধূর স্বামী জাহিদ মিয়া বলেন বলেন, একই গ্রামের মো. আবু বক্কর শেখের ছেলে সোবান শেখের (২৮) সাথে তিনি রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। একসাথে কাজ করার সুবাদে সোবান তাদের বাড়িতে প্রায়ই আসতেন। সেদিন রাতে বাড়িতে এসে সোবহান তাদের দুজনকে টাইগার ড্রিংক পান করায়। এরপর তারা ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে তাদের ঘুম ভাঙলে বিষয়টি জানতে টের পান তারা। তার স্ত্রী এসময় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
গৃহবধূর মা নাছিমা বেগম বলেন, সোবহান শেখ আমার মেয়ে এবং জামাইকে টাইগার ড্রিংকের সাথে ঘুমের ওষুখ খাওয়ানোর পর আকাজ করে। এতে আমার মেয়ের গর্ভের দুই মাসের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালে সোবহান আমাদের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। বাধ্য হয়ে আমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, উভয়পক্ষই আমার খুব পরিচিত। বিষয়টি নিয়ে তার কাছে ওই নারীর পরিবার হতে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি উভয়পক্ষকে ডেকে বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেবেন।
এব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ডিউটি অফিসার এসআই হাফিজ বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেয়া হয় থানায়। তবে অভিযোগটি অসম্পূর্ণ থাকায় সেটি পূর্ণাঙ্গভাবে নতুন করে লিখে জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু এরপর আর তারা আসেননি। অভিযোগটি সেভাবেই পড়ে আছে।
বিভি/এইচএ/এইচএস
মন্তব্য করুন: