• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

বছর না যেতেই ভেঙে ফেলা হলো মুজিববর্ষের উপহারের ঘর

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:০৮, ১৬ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
বছর না যেতেই ভেঙে ফেলা হলো মুজিববর্ষের উপহারের ঘর

বছর না যেতেই ভেঙে ফেলা হয়েছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার গৌরিশ্বর এলাকায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের তিনটি ঘর। বড় বড় ফাটল, জীর্ণ দশা আর বসবাসের অযোগ্য হওয়ায় কয়েকদিন আগে ভেঙে ফেলা হয় ঘরগুলো। পুনরায় ঘরগুলো নির্মাণের আশ্বাস দেয়া হয়েছে বাসিন্দাদের। ঝড় ও রোদ-বৃষ্টির মধ্যে ভেঙে ফেলা ঘরের বাসিন্দারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এছাড়াও ওই আশ্রয় কেন্দ্রের অন্যান্য ঘরগুলোতেও রয়েছে ফাটল। খসে পড়ছে পলেস্তার। আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও নানা অনিয়মের কারণে ঘরগুলোর এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। 

সরজমিনে জানা যায়, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ২৭৬টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে গৌরিশ্বর এলাকায় ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হয় ৪৪টি ঘর। কিছুদিন না যেতেই ঘরগুলোতে দেখা দেয় ফাটল। অভিযোগ উঠে নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের। মাটির সমস্যার কথা বলে পাশ কাটিয়ে যায় প্রশাসন। পরবর্তীতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রয়ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে তা মেরামতের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই আবারও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়। দেখা দেয় বড় বড় ফাটল। খসে পড়তে থাকে পলেস্তারা। সংবাদকর্মীদের কাছে দুর্দশার কথা তুলে ধরেন আশ্রয়ন কেন্দ্রের বাসিন্দারা। তখন টনক নড়ে প্রশাসনের। ছুটে যান প্রশাসনের কর্তারা। আশ্বাস দেয়া হয় ঘর পুনঃনির্মাণ ও সংস্কারের। সংবাদকর্মীদের কাছে ঘরের বিষয় তুলে ধরায় নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হয় বাসিন্দাদের। পরে যে সমস্ত ঘরে বড় বড় ফাটল, জীর্ণ দশা আর বসবাসের অযোগ্য সে সব ঘর কয়েকদিন আগে ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঝড় ও রোদ-বৃষ্টির মধ্যে ভেঙে ফেলা ঘরের বাসিন্দারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কেউ আশ্রয় কেন্দ্রের পাশে কোন রকম ছাপড়া তুলে বসবাস করছে আবার কেউ অন্যের আশ্রয় কেন্দ্রের ঘরের বারান্দায় বসবাস করছে। এছাড়াও ওই আশ্রয় কেন্দ্রের অন্যান্য ঘরগুলোতেও ফাটল থাকায় আতঙ্কে দিন কাটছে বাসিন্দাদের। পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যাতো রয়েছেই।  

রবিবার বিকালে কথা হয় ঘর ভেঙে ফেলা গৌরিশ্বর আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দা মাজেদা বেগমের সাথে। তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে অনেক খুশি হয়েছিলাম। কয়দিন পরেই বড় বড় ফাটল দেখা দেয়। খসে খসে পড়ে পলেস্তারা। নতুন করে ঘর তৈরি করে দিবে বলে ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঠিকমতো লোক কাজ করতে আসেনা। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে গাছের তলায় ছাপড়া তুলে রইছি। খুব কষ্ট হইতাছে।’ 

আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দা শরিফা বেগম বলেন, ‘নতুন করে ঘর তৈরি করে দিবে বলে ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভাঙার পর ঠিকমতো কাজও করতে আসেনা লোকজন। অন্যের ঘরের বারান্দা ও রান্না ঘরে রইছি। পোলাপান, গরু ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে খুব কষ্টে আছি।’ 

খুকি বেগম বলেন, ‘আমার ঘরে বড় বড় ফাটল। আতঙ্কে রয়েছি। অফিসার আইসা খুব রাগারাগি করলো। কাউকে যেন কিছু না বলি। ঝড়ের সময় দেয়াল ভেঙে পড়লে বাঁচমুনাতো।’

এবিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল বলেন, ‘মাটির কারণে কয়েকটি ঘরে সমস্যা থাকায় তা ভেঙে পুনর্নির্মাণ করা হবে।’

বিভি/এআর/এইচএস

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2