কিশোরীকে ভারতের পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড

খুলনা মহানগরের খানজাহান আলী থানা এলাকার সাথী বেগম (১৭) নামে এক কিশোরীকে ভারতে পাচার ও যৌনকর্মী হিসেবে পতিতালয়ে বিক্রির অপরাধে স্বামী-স্ত্রীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৮ মে) খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আঃ ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে- মো. শাহীন শেখ এবং তার স্ত্রী আসমা বেগম ওরফে সালমা।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী (পিপি) এড. ফরিদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার রায়ে অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়। তবে দণ্ড ও খালাসপ্রাপ্ত সকল আসামি পলাতক রয়েছেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধে স্বামী-স্ত্রী পিরোজপুর জেলা সদরের টোনা গ্রামের বাসিন্দা। তবে তারা খুলনা মহানগরের খানজাহান আলী থানা এলাকায় বসবাস করতেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, নগরীর বিআইটি রোডের খানাবাড়ি এলাকার শওকাত ডাক্তারের ভাড়াটিয়া লাকী বেগমের কন্যা সাথী বেগমকে ২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর ভারতে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মো. শাহীন শেখ এবং তার স্ত্রী আসমা বেগম ওরফে সালমা ভারতে পাচার করে সেখানকার পতিতালয়ে বিক্রি করে দেন। এ ঘটনায় সাথী বেগমের সন্ধান না পেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার মা। এর কিছুদিন পরে জানতে পারেন তার মেয়ে ভারতে রয়েছে। তাকে বিক্রি করে চৌহাটি কানাডা ব্রীজ গনেশের বাড়িতে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হচ্ছে। পরবর্তীতে শাহীন খানের সাথে যোগযোগ করা হলে জানানো হয়, ২০ হাজার টাকা দিলে সাথীকে মুক্তি দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে দুইজনের নাম উল্লেখ করে লাকী বেগম খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অসীম কুমার ঘোষ তদন্ত শেষে আসামি শাহীন খান ও তার স্ত্রীসহ আরও পাঁচজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বিভি/এপি/এইচএস
মন্তব্য করুন: