অপহরণ মামলার তদন্তে বেরিয়ে এলো চাচী-ভাতিজার প্রেম

৪০ বছর বয়সী জাহানারা বেগম নামের এক নারীকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেছে আসাদুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক। ওই নারীর প্রথম সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। তবে তার স্বামী বেঁচে নেই। যুবক আসাদুল আর জাহানারা সম্পর্কে চাচী-ভাতিজা।
এমনি ঘটনা ঘটেছে যশোরের মনিরামপুরে। ছয় মাস আগে তারা দুজন এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় সে সময় আসাদুলের বাবা তার সন্তানকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে জাহানারার ভাই ও সন্তানসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে মামলা করে। আদালত মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ইউনিটকে (পিবিআই)। পিবিআই দীর্ঘ ৫ মাস তদন্ত শেষে জানতে পারে, আসাদুলকে অপহরণ করা হয়নি। বরং ঘটনা ঘটেছে উল্টো। সে নিজ থেকে পালিয়ে গেছে চাচীকে নিয়ে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। পিবিআইয়ের যশোর জেলার বিশেষ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বাংলাভিশনকে বলেন, ‘ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে এমন অভিযোগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা করেন তার বাবা আব্দুল কাদের। পরে আদালত আমাদের তদন্তের দায়িত্ব দেন। কিন্তু তদন্ত শেষে আমরা নিজেরা অবাক হলাম। কি ঘটনাকে কি বানালো। ঘটনা হলো চাচীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে ভাতিজা। মূলত ভাতিজা তার চাচীকে ভালোবাসে। চাচী বিধবা। তাই চাচীকে বিয়ে করতে চায়, এটা সে তার পরিবারকে জানালে পরিবার মেনে নেয়নি। তাই তারা চাচী-ভাতিজা সাতক্ষীরায় গিয়ে বিয়ে করে। সেখান থেকে আসাদুল ও ওই নারী জাহানারা সাভারে গিয়ে বসবাস শুরু করে।’
এই বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা শুরুতে ভেবেছি আসলেই তাকে অপহরণ করা হয়েছে। কিন্তু তদেন্তে অহরণের কোনো প্রমাণ মিলছিল না। এক পর্যায়ে আমরা জানতে পারি সে সাভারে অবস্থান করছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর সে জানায়- বাড়ি থেকে পালিয়ে আসার আগে সে তারা বাবা-মাকে জানিয়েছিল জাহানারাকে বিয়ের কথা। তার বাবা জেনেও ছিল ওই নারীকে সে বিয়ে করেছিলে। তবুও তার বাবা ওই নারীর ভাই আজিজুর রহমান, সন্তান শহিদুল ইসলাম, প্রতিবেশী সেলিনা বেগম ও শাহীন আলমকে আসামি করে মামলা দিয়েছে।’
তদন্তে আসাদুলের বাবা অপরাধ করেছে এটি প্রতীয়মান হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিভি/ এসএইচ
বিভি/এসএইচ/এনএ
মন্তব্য করুন: