চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারীর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ

সালিশ বৈঠকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক নারীর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার (১৫ জুন) ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার হিমু। মামলায় তার নামসহ মোট ৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আরও অজ্ঞাত ৫-৭ জনের কথা বলা হয়েছে।
মামলার এজাহারে জানা যায়, গত রবিবার (১২ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী ইন্দ্রইল মোল্লাপাড়া গ্রামে ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়ির আশপাশে চান্দহোর এলাকার এক যুবক ঘোরাফেরা করতে থাকে। এ সময় ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে ওই যুবকের অনৈতিক সম্পর্ক আছে এমন অভিযোগ তুলে তাকে মোল্লাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, রবিউল, ফারুক, শরিফুলের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া যায়। সেখানে ডেকে নিয়ে আসা হয় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার হিমুকে। শুরু হয় সালিশ বৈঠক।
বিচারের এক পর্যায়ে ওই নারীকে মারপিট ও পরনের কাপড় টেনে বিবস্ত্র করে শ্লীনতাহানি ঘটায় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এ সময় বৈঠকে উপস্থিত দুই নারী আম্বরী ও আনছারীর সহায়তায় ইউপি চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার ভুক্তভোগীর মাথার চুল কেটে দেন। এরপর ওই নারী অসুস্থ হলে তার স্বামী তাকে পীরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বুধবার (১৫ জুন) ভুক্তভোগী ওই নারী পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার হিমু তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এলাকাবাসীর অনুরোধে আমি সেখানে যাই। কিন্তু সেখানে কোনো নারীর চুল কাটার ঘটনা ঘটেনি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’
এ ব্যাপারে থানায় মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, আসামিদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন: