সিলেটের বাতাসে দুর্গন্ধ

বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে। তবে জমে থাকা বন্যার ময়লা পানি থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধে ভরে উঠেছে বাতাস।
শনিবার (২৫ জুন) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, নগরের যতরপুর, মিরাবাজার, শাহজালাল উপশহর, সোবহানীঘাট, মির্জাজাঙ্গাল, তালতলা, জামতলা, শেখঘাট, ঘাসিটুলা, কুয়ারপাড়, লালাদিঘীর পাড় এলাকার পাড়া-মহল্লার পানি ময়লা ও কালো রং ধারণ করেছে। এসব স্থানে জমে থাকা পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বেশিরভাগ প্রধান সড়ক থেকে পানি নেমেছে। এর মধ্যে সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহর, তালতলা সড়কসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার সড়কগুলোতেও পানি রয়ে গেছে। কিছু সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, পানি কমে যাওয়ার পর নতুন করে ভোগান্তি শুরু হয়েছে। আগে বেশি পানি থাকায় পানি কিছুটা ঘোলা থাকলেও ময়লা ছিল না। এখন পানি ময়লা হয়ে কালো রং ধারণ করেছে। প্রতিনিয়ত ময়লা পানি মাড়িয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে। এতে সবার পায়ে চুলকানি হচ্ছে।
সিলেট পাউবো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধীরগতিতে পানি কমছে। বৃষ্টি না হলে আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে পানি আরও কমে যাবে। তবে আগামী মাসের শেষ দিকে আবার বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত সিলেট সিটি করপোরেশনের আংশিক, জেলার ১৩টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভায় ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৩২০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২২ হাজার ১৫০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফসল নষ্ট হয়েছে ২৮ হাজার ৯৪৫ হেক্টর।
সিলেট পাউবো সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে দশমিক শূন্য ৯ সেন্টিমিটার কমে ১৩ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে। একই সময়ে নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি দশমিক শূন্য ৭ সেন্টিমিটার কমে ১০ দশমকি ৮২ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্ট, শেরপুর পয়েন্টেও পানি কমেছে। তবে কুশিয়ার নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টের পানি শুক্রবার থেকে অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিভি/এনএ
মন্তব্য করুন: