ফলাফলের গেজেট বাতিল চান সাক্কু

নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে যাচ্ছেন ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজয় ঘোষিত স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী ও কুসিকের টানা দুইবারের সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট বাতিল চেয়ে এবং নগরীর চারটি ভোটকেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে আগামী ২২ জুলাইয়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে মামলা করবেন বলে সাক্কু মঙ্গলবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
গত ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ৫০ হাজার ৩১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন বলে ঘোষণা করেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পান ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।
গত ২৩ জুন বিজয়ী মেয়র আরফানুল হক রিফাত, ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ৯টি সংরক্ষিত ৯টি ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলরদের গেজেট প্রকাশিত হয়। সে নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন সাক্কু। পরবর্তীতে গত ২২ জুন তিনি সিটির চারটি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল বাতিল ও গেজেট স্থগিত করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে আবেদন করেন।
সাক্কু বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করতে হয়। তাই আগামী ২২ জুলাইয়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে যাবো। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহসহ সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সাক্কু বলেন, আমি ঐ চারটি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়ে আবেদন করেছিলাম এবং একই সঙ্গে গেজেট স্থগিত করারও আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কমিশন গেজেট প্রকাশ করেছে। এখন আমাকে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালেই যেতে হচ্ছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশে কোনো ধরনের অনিয়ম কিংবা কারচুপি হয়নি। ফলাফলের বিষয়ে কোনো অভিযোগ থেকে থাকলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু প্রতিকার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারেন।
বিভি/এনএ
মন্তব্য করুন: