মামা প্রবাসে, ভাগ্নেকে বিয়ে করতে অনশনে মামি

প্রবাসে স্বামী। এই সুযোগে মামির সকল কাজে যাতায়াত ছিল ভাগ্নের। সেখান থেকে সখ্যতা বাড়তে বাড়তে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্কও হয় মামি-ভাগ্নের। কিন্তু এক পর্যায়ে ভাগ্নেও পাড়ি জমান বিদেশে। এখন বেঁকে বসেছেন ওই মামি। ভাগ্নেকে বিয়ে করতে বসেছেন অনশনে। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায়।
বুধবার (২৯ জুন) উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউপির হাওয়াকান্দি ভাগ্নের বাড়িতে অনশন অবস্থায় দেখা যায় মামি সীমা আক্তারকে।
স্থানীয়রা জানান, গোবিন্দপুর উত্তর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ড চরমথুরা গ্রামের দেওয়ান বাড়ির মেয়ে সীমা আক্তার এবং পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউপির আনোয়ার হোসেন মানিকের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মামা বিল্লাল হোসেন পেশায় একজন প্রবাসী। দেশের বাইরে থাকতেন মামা বিল্লাল। মামার অনুপস্থিতিতে মামির সঙ্গে সময় কাটাতো ভাগনে মানিক।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। একপর্যায়ে বিচ্ছেদ হয়। পরবর্তীতে মানিক সীমাকে বিয়ে করার কথা থাকলেও সে বিদেশে পাড়ি জমায়। মানিক চার বছরেও ফিরে না আসায় পরিবারের চাপে সীমা গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউপির রামপুর গ্রামের ঢাকায় বাসিন্দা এনামুল হকের সঙ্গে বিয়ে হয়। মানিক সেখানেও সীমার দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তার দ্বিতীয় সংসার ভেঙে যায়।
২০০৯ সালে সীমা আক্তারের সঙ্গে বিল্লাল হোসেন বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। তারপর থেকে আনোয়ার হোসেন মানিক মামার বাড়ি প্রতিনিয়ত যাওয়া আসা করতেন। সেই সুযোগে মানিক সুকৌশলে সীমা আক্তারের বিভিন্ন ছবি মোবাইলে ধারণ করে সীমা আক্তারকে ব্লাক মেইল করতে থাকে। এক পর্যায়ে মানিকের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে।
অনশনকারী সীমা বলেন, মানিক আমাকে ঘরে তুলে না নিলে আমি আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেবো। সে আমাকে অনেকবার স্ত্রীর মতো ব্যবহার করেছে। এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি মানিক।
গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি মাত্র জেনেছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল জানান, সীমা আক্তার ৯৯৯ কল করেছেন। তাদের একটা মামলা ও চলমান। বিষয়টা সমাধান করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ভূঁইয়াকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: