বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ, কুপিয়ে জখম

বিয়ের প্রলোভনে এক কলেজ ছাত্রীকে ১বছর লাগাতার ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাট করে ঝালকাঠি সদর উপজেলার হিমানন্দকাঠী গ্রামের বাড়িতে এনে মারধর ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্যাতন ও মারধরের শিকার কলেজ ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক ইসতিয়াক আহম্মেদ অভি (২৫), মোসা. রিজিয়া বেগম (৪৫) ও সাইফুল ইসলাম সেন্টুকে (৫০) কে আসামি করে ঝালকাঠি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বানাড়ীপাড়া উপজেলার মাদারকাঠি গ্রামের সৈয়দ মন্টুর মেয়ে ভিকটিম কলেজ ছাত্রী নবগ্রামের শিক্ষক ইমাম হোসেনের কাছে প্রাইভেট পড়তে আসার পথে বখাটে যুবক ইসতিয়াক আহম্মেদ অভি পথেঘাটে উত্যক্ত করতে শুরু করে। প্রায় এক বছর পূর্বে কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে বখাটে অভি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।
কলেজ ছাত্রী বারবার বখাটে অভিকে বিয়ের জন্য অনুনয়-বিনয় করলেও নানারকম ছলচাতুরী করে সে ধর্ষণ অব্যহত রাখে। এক পর্যায়ে গত ২৮ জুন সকাল ১০টায় ধর্ষক ইসতিয়াক আহম্মেদ অভি বিয়ের বিষয়ে তার বাবা-মায়ের সাথে কথা বলিয়ে দেয়ার প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীকে হিমানন্দকাঠী গ্রামের বাড়ী এনে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কলেজ ছাত্রী এতে বাধা দিলে তাকে ব্যাপক মারধর করে ও তাদের দুজনের সম্পর্কের প্রমাণ নষ্ট করতে এনড্রয়েট ফোনটি ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে।
সে ফোন না দেয়ায় ধর্ষক অভি ধাড়ালো চাকু দিয়ে কলেজ ছাত্রীর হাতে কুপিয়ে ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। এসময় সে ডাক চিৎকার করলে ধর্ষক অভির মা রিজিয়া বেগম এসে তার মুখ চেপে ধরে এবং তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। চিৎকার শুনে আশেপাশের লোক এগিয়ে আসলে ঘরের বাইরে ফেলে দেয়া কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।
অভির পিতা সাইফুল ইসলাম সেন্টুর মুঠোফোনে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি একটু ব্যস্ত আছে জানিয়ে পরে ফোন করতে বলেন। এক ঘণ্টা পরে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
ঝালকাঠি থানার অভিযোগের তদন্তকারী এসআই গোবিন্দ জানায়, অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে আমি সরেজমিন অনুসন্ধান চালাচ্ছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: