শেরপুরে ক্রেতারা বলছেন দাম বেশি, বিক্রেতারা বলছেন কম

কোরবানি ঈদের বাকি আর মাত্র ক’দিন। জমে উঠেছে শেরপুরের পশু হাট। উপজেলা পর্যায়ের সাপ্তাহিক হাট ছাড়াও, জেলা সদরের খোয়ারপাড় এলাকায় পৌর গরু হাটায় বসেছে স্থায়ী হাট। বিভিন্ন এলাকা থেকে হাটে প্রচুর পশু আসছে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকাররাও এসে ভিড় করছেন। তবে ক্রেতারা বলছেন গরুর দাম বেশি, বিক্রেতারা বলছেন কম।
শেরপুরের ছোটবড় ২৭ টি পশুর হাটের মধ্যে অন্যতম একটি হাট হচ্ছে নালিতাবাড়ী নয়ানিকান্দা পৌর গরু হাটি। প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মংগলবার এ হাটটি বসেছিল। তবে পাইকার ও ক্রেতারা বলেছেন গতবারের চেয়ে এবার গরুর দাম একটু চড়া।
সরেজমিনে হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটের এলাকা ছাপিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বসেছে পশুর হাট। ছোট মাঝারি রড় গরু নিয়ে এসেছেন খামারিসহ সাধারণ বিক্রেতারা। এনছেন ছাগল ও মহিষও। হাট ঘুরে দেখা যায়, হালুয়াঘাট উপজেলার ধারা ইউনিয়নের টিংগর খিলা গ্রাম থেকে মন্নেছ আলী ২৫ মণ ওজনের এক বিশাল ষাড় নিয়ে এসেছেন। দাম হাকাচ্ছেন বারো লাখ টাকা। তার ভাষ্য অনুষাড়ে গরুটির দাম উঠেছে ৬ লাখ টাকা। এ দামে বিক্রি করলে ষাড়টি তিন বছর যাবৎ লালন করে তিনি যে খরচ করেছেন, সে টাকা উঠবে না। একই রকম কথা বললেন শেরপুরের বাজিতখিলা থেকে আনা অপর আরেকটি ষাড়গরুর মালিক। এ ষাড়টির দাম চাওয়া হয়েছে সাত লাখ টাকা। দাম উঠেছে পাঁচ লাখ টাকা।
ক্রেতারা হাঁট ঘুরে ঘুরে গরু দেখছেন, দাম করছেন। কিন্তু দাম মেলাতে পারছেন না। তারা বলছেন দাম বেশি।
হাটের ইজারাদার জানালেন, প্রচুর গরু আমদানি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররাও এসেছেন। কিন্তু সে তুলনায় এখনও তেমন বেচা কেনা শুরু হয়নি।
পৌর মেয়র আবু বকর সিদ্দিক জানালেন, সুন্দর ভাবে গরু কেনা বেচার জন্য হাট নিরাপত্তা সহ সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পশু সুস্থ রাখতে ব্যবস্থা নিয়েছেন প্রাণী সম্পদ দপ্তরও।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুস্তাফিজুর রহমান জানালেন, জেলায় এবার চাহিদার চেয়ে সাতাশ হাজার পশু বেশি আছে। তিনি জেলায় এবার ৫ শ’ ষাট কোটি টাকার পশু বেচাকেনার আশা করছেন। খামারিরা জানান, অন্য সময়ের তুলনায় গো খাদ্যের দাম বেড়েছে তিন গুণ। সে তুলনায় গরুর দাম বাড়েনি। তাই অনেকের কাছে গতবারের চেয়ে গরুর দাম বেশি মনে হলেও, প্রকৃত অর্থে লোকসানের মুখে থাকবে গবাদি পশু পালন কারীরা
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: