ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুন যানবাহন চলাচল করায় উত্তরবঙ্গগামী লেনে রসুলপুর থেকে সেতু পূর্ব পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার মহাসড়কে যানজট দেখা দিয়েছে। এখানে যানবাহন চলছে অত্যন্ত ধীর গতিতে।
এর আগে গত শুক্রবার (৯ জুলাই) ভোর থেকে শুরু হওয়া যানজট ক্রমেই বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে শনিবার (৯ জুলাই) সকাল পর্যন্ত সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সকাল সাড়ে ৭টার পর থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। তবে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেশি থাকায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে রসুলপুর পর্যন্ত যান বাহন চলছে ধীর গতিতে। এতে করে নারী ও শিশুরা বিপাকে পড়েছেন। গন্তব্যে যেতে অনেক সময় লাগছে।
শনিবার সকাল ৬টায় মহাসড়কের রাবনা বাইপাস, রসুলপুর, পৌলী, এলেঙ্গা, হাতিয়া, যোকারচর ও সেতু পূর্ব পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তায় দীর্ঘ যানজট। পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। তবে সেতু পূর্ব থেকে রসুলপুর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার যানবাহন চলছে ধীর গতিতে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বিগত দিনের তুলনায় দ্বিগুন যানবাহন চলাচল করছে। ফলে শুক্রবার বিকেল থেকে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে। এছাড়াও মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ফিটনেসবিহীন গাড়ি বিকল হয়ে পড়ায় কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়। শনিবার সকাল থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, গত ঈদের ন্যায় এবারও যানজট মুক্ত মহাসড়ক উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। উত্তরাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস সেতুর পূর্বপাপ্রান্ত গোলচত্তর থেকে গোবিন্দাসী এবং ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা চার লেনে এসে উঠছে। আর উত্তরাঞ্চল থেকে আসা গরুবাহী যানবাহন মহাসড়ক দিয়ে সরাসরি ঢাকা যাচ্ছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গত ঈদের মতো এই ঈদেও যেন মহাসড়কে যানজট না হয় সেজন্য ৬২০ জন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও ১০০ জন এপিবিএন সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন দ্রুত সরিয়ে ফেলার জন্য ৪টি রেকার প্রস্তুত রয়েছে। মহাসড়ক পর্যবেক্ষণের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার।
বিভি/এনএ
মন্তব্য করুন: