• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ঝালকাঠিতে মা-মেয়েকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:৫৩, ১৬ জুলাই ২০২২

ফন্ট সাইজ
ঝালকাঠিতে মা-মেয়েকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ

ঝালকাঠির নলছিটিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা এবং মেয়েকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে দুঃসম্পর্কের আত্মীয়ের বাবুল খান-এর বিরুদ্ধে। গত ১৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের প্রতাপ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ঘটনার পরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যায় নির্যাতিতা ৩৫ বছর বয়সী মা এবং ২১ বছর বয়সী মেয়ে। লজ্জার কারনে বিষয়টি তারা ঐদিন গোপন রাখেন। ঘটনার পরেরদিন শুক্রবার বিকেলে নির্যাতিতা মেয়ের স্বামী রিপন হাওলাদার বাদি হয়ে স্ত্রী ও শাশুরীর উপর নির্যাতনকারীদের বিচার চেয়ে নলছিটি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। 

সাংবাদিকদের ঘটনার বিবরন দিয়ে নির্যাতিতা নারী বলেন, 'ঘটনার দিন ৫৫ বছর বয়সী বাবুল খান তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমার ঘরে এসে প্রথমে আমার মেয়েকে মারধর করে গায়ের জামা টেনে ছিড়ে ফেলে। তখন বাবুলের সাথে তার ছেলে আল-আমিন খান, মেয়ে নিশি বেগম, শারমিন এবং স্ত্রী আয়েশা বেগমসহ আরো কয়েকজন লোক ছিলো। আমি মেয়েকে বাঁচাতে এলে তারা আমাকে একাধারে মারধর করতে থাকে। তখন আমার শরীরের কাপড় খুলে আমাকে মেয়ের সামনে বিবস্ত্র করে ফেলে। 

ওই নারী আরো বলেন, ‘বিবস্ত্র করার পর আমি দৌড়ে গিয়ে গায়ে একটি চাদর পেচিয়ে পাশের ঘরে থাকা মেয়ে জামাইয়ের কাছে আশ্রয় নেই। কিন্তু বাবুল সেখানে গিয়ে আমার জামাতাকেও ঝারু দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। আমরা ওদের নির্যাতন সইতে না পেরে ৯৯৯ নম্বারে ফোন দিলে বাবুলরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে আমাদেরকে থানায় গিয়ে অভিযোগ দিতে বলেন। আমরা থানায় অভিযোগপত্র লিখে দিয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে রাতে বাড়ি চলে আসি।' 

এদিকে ১৫ জুন শুক্রবার বিকালে স্থানীয় গন্যমান্যরা ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদে শালিস মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বললে ভূক্তভোগীরা সেখানে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ সেখানে যায়নি। মা এবং মেয়েকে মারধরের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত বাবুল খান মুঠোফোনে বলেন, 'মারামারি চলাকালে উভয়পক্ষের ধরাধরিতে তাদের কাপড় খুলে গেছে হয়তোবা। আমি টেনে খুলি নাই। যা হবার হয়েছে, রিপোর্ট করার দরকার নাই, এটা নিজেরা মিমাংসা করে নিবো। 

নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা পেলে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিভি/এমএমএ/এইচকে

মন্তব্য করুন: