• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

একসঙ্গে বাড়ি ছাড়লো দুই বান্ধবী, ১১দিন পর খুঁজে পেলো পুলিশ

প্রকাশিত: ১৩:৩১, ২ আগস্ট ২০২২

ফন্ট সাইজ
একসঙ্গে বাড়ি ছাড়লো দুই বান্ধবী, ১১দিন পর খুঁজে পেলো পুলিশ

প্রতীকী ছবি

অভিমান ও জেদ নিয়ে দুই বান্ধবী নিজেদের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ১১দিন তারা নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানার পাশ থেকে দুই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উদ্ধারকৃত সোমা আক্তার শাহজাদী (২২) সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌড়ারং ইউনিয়নের বড়ঘাট গ্রামের সাজ্জাদুর রহমান সানজু মিয়ার মেয়ে ও সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্রী। অপর কিশোরী লায়লা সোবহান ঝিলিক বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের পলাশগাঁওয়ের আব্দুস সোবহানের মেয়ে ও পলাশ উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

জানা যায়, একজনের পরিবার থেকে বিয়ে দিতে চাওয়ায় সে বিয়ে না করার জেদ ধরে, আরেকজন মোবাইল কেনার বায়না করে টাকা চাইলে মা টাকা না দিয়ে মারধর করেন। তাই দুই বান্ধবী একসঙ্গে পালিয়ে যান বাড়ি থেকে।

পুলিশ জানায়, গত ২১ জুলাই বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে দুই  বান্ধবী। প্রযুক্তির সহায়তায় ১১ দিন পর সোমবার (১ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। ফতুল্লা এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজের জন্য যাওয়ার পথে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে পুলিশ সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে। 

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঝিলিক জানায়, সে মায়ের কাছে মোবাইল কেনার জন্য টাকা চেয়েছিলো। কিন্তু মা মোবাইল কেনার টাকা না দিয়ে মারধর করায় সে মায়ের সাথে অভিমান করে বান্ধবী শাহজাদীর সঙ্গে পালিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের ফতুল্লা এলাকায় চলে যায়।

 কলেজছাত্রী সোমা আক্তার শাহজাদী তার বিয়ের কথাবার্তা চলার কারণে সে পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে বান্ধবী ঝিলিকের সাথে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। সোমা পুলিশকে জানায়- সে এখন বিয়ে করতে চায় না, লেখাপড়া করতে চায়। 

তারা দুজন নিখোঁজের পর দুই পরিবারের পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর থানায় জিডি করা হয়। 

সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ দুজন নিখোঁজের পর পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। কিন্তু তাদের ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ থাকায় অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। পরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদেরকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ নিয়ে এসে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: