ধর্ষণ থেকে বাঁচতে সাবেক ইউপি সদস্যের বিশেষ অঙ্গ কেটে দিলেন গৃহবধূ

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় সাবেক ইউপি সদস্যের লিঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। আবার গৃহবধূ ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। ধর্ষণ থেকে বাঁচতেই তিনি পুরুষ অঙ্গ কেটেছেন বলে দাবি করছেন।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (৫ আগস্ট) গভীর রাতে জেলার ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইর রাজাপুর উত্তর ইউপির দিকচান গ্রামের সাবেক মেম্বার আজাদ হোসেন (৩৫) হঠাৎ চিৎকার করলে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নেত্রকোনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সে সময় তিনি একই গ্রামের গৃহবধূর  (২৭) ঘরে ছিলেন। 

গৃহবধূর অভিযোগ, সাবেক ইউপি সদস্য আজাদ হোসেন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করলে, সম্ভ্রম রক্ষায় ধারালো ব্লেড দিয়ে আজাদ হোসেনের লিঙ্গ কেটে ফেলেন।
 
সুখাইর রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসরিন সুলতানা দীপা জানান, সাবেক ইউপি সদস্য ও ওই গৃহবধূর মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। তারা উভয়ই বিবাহিত ও সন্তানের জনক-জননী। ইউপি সদস্যের তিন ছেলে এক মেয়ে এবং মহিলাও তিন সন্তান রয়েছে। গৃহবধূর স্বামী রাজমিস্ত্রী এবং বেশির ভাগ সময় পেশাগত কাজে বাড়ির বাইরে থাকেন। এই সুযোগে উভয়েই দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় বলে অনেকেই জানান। 

তবে গৃহবধূর অভিযোগ, সাবেক ইউপি সদস্য তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে এ সময় তিনি সম্ভ্রম রক্ষায় লিঙ্গ কর্তণ করেন।    

স্থানীয়রা ধারণা করছেন, উভয়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি কোনো বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেওয়ায় এ  ঘটনা ঘটেছে।   

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, ওই গৃহবধূ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।