• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ঝালকাঠির বিষখালী ও সুগন্ধা নদীর জোয়ারের পানিতে ১৮টি গ্রাম প্লাবিত

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:০৭, ১০ আগস্ট ২০২২

ফন্ট সাইজ
ঝালকাঠির বিষখালী ও সুগন্ধা নদীর জোয়ারের পানিতে ১৮টি গ্রাম প্লাবিত

ঝালকাঠির বিষখালী ও সুগন্ধা নদীর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৩টি উপজেলার ১৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বুধবার (১০ আগষ্ট) সকাল থেকে বিষখালী ও সুগন্ধা নদীর জোয়ারের পানিতে উঁচু গ্রামও তলিয়ে যায়। ফলে কৃষি-মৎস্যসহ গ্রামের কাঁচা ঘরবাড়ি ও রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। 

কাঠালিয়া উপজেলার বিষখালী নদীর অংশে বেরিবাধ না থাকায় জোয়ারের পানিতে উপজেলা পরিষদ ভবন, ইউএনও’র অফিস ও বাসভবনসহ ১১টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। কাঠালিয়া, আউরা, চিংড়াখালী, জয়খালী, কচুয়া, শৌলজালিয়া, আওরাবুনিয়া, আমুয়া, মশাবুনিয়া গ্রামের মৎস্য এবং কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব গ্রামের কাঁচা রাস্তা ও ঘর-বাড়ি প্লাবিত হয়ে মারাত্মক জন দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। 

অপরদিকে, নলছিটি ও রাজাপুরের নিম্নাঞ্চল ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এসব এলাকার মৎস্য ও কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েন স্থানীয়রা। রান্না ঘরে পানি ঢুকে রান্নার কাছে মারাত্মক দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। 

বিষখালী নদীর ভেরিবাঁধ না থাকায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এ সব অঞ্চল পানিতে তলিয়ে গিয়ে মারাত্মক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ ৫০ বছরেও বিষখালী নদীর কাঁঠালিয়া অংশে প্রায় ২৪ কিলোমিটার জায়গায় ভেরিবাঁধ না থাকায় অরক্ষিত রয়েছে এ সব এলাকার মানুষ। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভেরিবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। 

চিংড়াখালী গ্রামের বাসিন্দা আবু জাফর জানান, আমার পুকুর পানিতে ডুবে যাওয়ায় সব মাছ বের হয়ে গেছে। এতে আমার দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

কাঠালিয়া গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন জানান, বিষখালী নদীর জোয়ারের পানিতে বিন-১৯ জাতের পাকা ধান তলিয়ে গেছে। এ পানি আরও দুই দিন দিন থাকলে ধান পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনরা রয়েছে।

কচুয়া গ্রামের হাসি বেগম জানান, পানি আগামী দুই-তিনদিন বৃদ্ধি পাবে, এতে আজকের দিনের চেয়েও মারাত্মক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে।

কাঠালিয়া সদর গ্রামের বাসিন্দা দিপু শীল জানান, বিষখালী নদীর কাঠালিয়ায় ভেরিবাঁধ না থাকায় আমার বসত ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। তাই রান্না করা যাচ্ছে না। তাই ভাত খাইতে পারি নাই এখন চিড়া ভিজিয়ে খাইতেছি। আমাদের দাবি অল্প সময়ের মধ্যে বেরিবাঁধ নির্মান করবে সরকার বাহাদুর। 

শিক্ষার্থী মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিবছর এই দিনেই আমরা আতংকে থাকি, জোয়ারে পানিতে ঘর-বাড়ি তলিয়ে যায়। এতে আমরা রান্না করে খাবারও ক্ষেতে পারি না। শুকনো খাবার খেয়ে থাকতে হয়। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের ভেঁরিবাধ নির্মাণের দাবি। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকার কোন বেরিবাঁধ নির্মাণ করেনি। 

কৃষি বিভাগ জানান, চলতি মৌসুমে ঝালকাঠি জেলায় ৪৮ হাজার হেক্টরে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। জোয়ারে কিছুটা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি দ্রুত নেমে গেলে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হাসান জানান, আজ বুধবার সকাল থেকে জেলার সব কয়টি নদীর পানি বেড়েছে।


 

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: