দাওয়াত না দেওয়ায় ইউনিয়ন সভাপতিকে মারলেন জেলা আ.লীগ নেতা

ফরিদপুরে নিজেকে প্রধান অতিথি না করায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক দিবসের অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল নির্মাণে বাধা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদ প্রশাসকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এনিয়ে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চরমাধবদিয়া ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আগামীকাল শুক্রবার এক আলোচনা সভা আয়োজন করে। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে প্যান্ডেল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এরপর অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে এই প্যান্ডেল নির্মাণ কাজে বাধা দেন জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা শামসুল হক ভোলা মাস্টার। এসময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির উপর হামলার ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি না করায় ক্ষুব্ধ হন শামসুল হক ভোলা মাস্টার। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তজনা চলছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৫ আগস্ট নিহতদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও স্মরণসভা আয়োজনের জন্য প্যান্ডেল তৈরি করছিলাম। সেখানে ভোলা মাস্টার এসে প্যান্ডেল তৈরিতে বাধা দেন। সে সময় আমি বিষয়টা জানতে এলে তিনি কোন কথাবার্তা ছাড়াই সাথে সাথে আমাকে কিল, ঘুষি চর-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতা শামসুল হক ভোলা মাস্টার বলেন, এই স্কুলের সভাপতি আমি। আমি জেলা পরিষদের প্রশাসক। দীর্ঘদিন আমি আওয়ামী লীগ করি। আমার বাড়িও এখানে। এই স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগ অনুষ্ঠান করবে অথচ আমাকে জানাবে না!
তিনি অভিযোগ করে বলেন, অনেক জুনিয়রদের এই অনুষ্ঠানে অতিথি করা হয়েছে কিন্তু আমাকে জানানোই হয়নি তাই স্কুল কম্পাউন্ডে অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হয়নি। তারা অনুষ্ঠান করলে কম্পাউন্ডের বাইরের মাঠ বা অন্য কোথাও করলে করবে।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কল) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কি কারণে এই ঘটনা সেটি তদন্ত করে পরবর্তীতে আপনাদের জানাতে পারবো।
বিভি/কেএস
মন্তব্য করুন: