পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন
আনারসের বিরুদ্ধে জীবননাশের অভিযোগ ঘোড়ার

পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. হাফিজুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসারের কাছে হাফিজুর রহমান লিখিত অভিযোগ করেন। দুটি চিঠিতে প্রার্থী তার জীবনের নিরাপত্তা চায় পুলিশের সহযাগিতা চেয়ে আবেদন করেছেন।
লিখিত অভিযোগ হাফিজুর রহমান দাবি করেন, নির্বাচনী আচারণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনারস প্রতীকের (আওয়ামীলীগ সমর্থিত) খলিলুর রহমান মোহন এবং তার সন্ত্রাসীরা আমাকে হত্যা ও আমার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের হুমকি দিচ্ছে। সর্বশেষ গত ৬ অক্টোবর বাউফল পৌরসভার মাঠে আনারস মার্কার নির্বাচনী সভায় হুমকি দেয়। পাশাপাশি নির্বাচনর পর কিভাবে এলাকায় থাকে সে বিষয়ে দেখে নেওয়ারও হুমকি প্রদান করেন। এ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি ভিডিও ক্লিপও অভিযোগপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এমতাবস্থায় আগামী ১৭ অক্টোবর সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং জীবনের নিরাপত্তার জন্য ১১ অক্টোবর সকাল ৭টা থেকে ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পুলিশী সহায়তা চায়ে আবেদন করা হয়।
এবিষয়ে এড. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের শুরুর দিকে নির্বাচনী পরিবেশ ভালো থাকলেও দিন যতো এগিয়ে আসছে ততই নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করা হচ্ছে। আওয়ামীলীগের সমর্থিত প্রার্থী নিজে এবং তার কর্মী ও সমর্থকরা বিভিন্ন এলাকায় আমার পোস্টার, ফেস্টুন ছিড়ে ফেলেছে। এ ছাড়া নির্বাচনী আচারণবিধি ভঙ্গ করে পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মুহিব নির্বাচনীয় প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও নির্বাচন কমিশন কিংবা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এখন আমাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য তারা পরিকল্পনা করছে। আমি এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কাছ দুটি লিখিত আবেদন করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে আনারস মার্কার প্রার্থী খলিলুর রহমান মোহন বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ কামাল হাসন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান পদ মাত্র তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদ ৭ জন এবং সাধারণ আসন মোট ২৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে মোট ১০৮৩ জন ভাটার ভাটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আগামী ১৭ অক্টোবর জেলার ৮ উপজেলার ৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বিভি/এসএইচ/এইচএস
মন্তব্য করুন: