পটুয়াখালী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং’র আঘাত হানার আশঙ্কা, প্রশাসনের প্রস্তুতি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং’র আঘাত হানার আশংকায় উপকূলীয় এলাকার জনসাধারনের জানমাল রক্ষাসহ পরবর্তীতে সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসকের দরবার হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী সিভিল সার্জন মো. কবির হাসান, পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার, জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার এম এ মতিন প্রমূখ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে বিভিন্ন সতর্কতামূলক দিক নির্দেশনা দেন। এছাড়া সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেয়া হয়। রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলাও কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে।
সভায় জানানো হয়, পুলিশ আশ্রয় কেন্দ্রে আসা মানুষ ও তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কোন জেলে সমুদ্রে যাতে না যায় সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। এ জন্য সকল মৎস্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান, প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী শামসুর রহমান ইকবাল, সাধারন সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, সকল উপজেলার ইউএনও, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়েছে, জেলার ৮ উপজেলায় মোট ৭০৩টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও মানুষের আশ্রয়ের জন্য ২৬টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রয়েছে। জেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম, পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট, শুকনা খাবার এবং নগদ অর্থ সরবরাহ করা হবে।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: