হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আশ্রয়ন কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ

নোয়াখালীর একমাত্র বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চারটি গ্রামপ্লাবিত হয়েছে।
এরইমধ্যে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে মানুষ। রবিবার (২৩ অক্টোবর) রাত থেকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে দুর্যোগমোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নিঝুম দ্বীপে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। সোমবার সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের বান্ধাখালী, মোল্লা গ্রাম, মুন্সি গ্রাম ও মদিনা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। হাতিয়ায় সিপিপির রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপির প্রশিক্ষিত ভলেন্টিয়ার এরইমধ্যে উপকূল অঞ্চলে মাইকিং করছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম হোসেন বলেন, আবহাওয়া অধিদফতর থেকে ৭ নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নদী উত্তাল থাকায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশের নৌ-চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে ৭-৮ ফিট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের সম্ভবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরবর্তী নির্দেশনার আলোকে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় হাতিয়াতে ২৪২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৩ হাজার ৫৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
হাতিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ভোর ৬টা পর্যন্ত হাতিয়াতে ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে ৮৯ মিলিমিটার পর্যন্ত। অর্থাৎ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: