ভোলায় মুষলধারে বৃষ্টিসহ ঝড়ো বাতাস, প্রস্তুত ৭৪৬ আশ্রয়কেন্দ্র

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভোলায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই জেলা জুড়ে মুষলধারে বৃষ্টিসহ ঝড়ো বাতাসে বইছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে ভোলার মেঘনা নদী। ভোলা থেকে ঢাকা বরিশালসহ সকল রুটের লঞ্চ চলাচল ও ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ইলিশা ঘাটে আসা যাত্রীরা।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কোস্টগার্ডের ভোলা জেলায় ৬টি টিম কাজ করছে। তারা স্থানীদের সর্তক করে মাইকিং করছে।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মাহাবুব রহমান জানান, উপকূলীয় জেলা ভোলাকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভোলায় ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টি পাত হয়েছে। এ ছাড়া ঘণ্টায় ১৫ নটিক্যাল মাইল বেগে বাতাস বইছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলার ৭৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩০৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখার জন্য অবহিত করা হয়েছে। সাত উপজেলায় খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। গঠন করা হয়েছে ৭৬টি মেডিকেল টিম। দুর্যোগ মোকাবেলায় ১৩ হাজার ৬০০জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।
জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের ৩ লক্ষাধিক বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্যোগকালে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া মানুষদের জন্য এক হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ ছাড়া ২৫ মেট্রিকটন চাল ও ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: