‘দিপু আমার সাথে বেইমানি করেছে’-লিখে প্রেমিকার আত্মহত্যা

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আখি আক্তার (২০) নামের এক তরুণী। প্রেমিক অন্য জায়গায় বিয়ে করায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে নিহত আখি আক্তারের বড় ভাই আব্দুল হালিম আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে প্রেমিক নুর মো. দিপুকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।
এর আগে শনিবার (২২ অক্টোবর) নিজ বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মরদেহের পাশে একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে লেখা ছিল ‘দিপু আমার সাথে বেইমানি করেছে’।
আখি আক্তার লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা থানার পশ্চিম ফকির পাড়ার আমিনুল ইসলামের মেয়ে। তারা সপরিবারে ফতুল্লার পাগলা মধ্যরসুলপুরের মনিরের বাসায় ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন।
অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ দিপু (২৫) ফতুল্লার পাগলা মধ্যরসুলপুর জসিম মার্কেটের বাবুল শেখের ছেলে। তিনি কাঁচপুরে একটি কারখানায় কর্মরত। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আখি আক্তার ঢাকার ধানমন্ডির ডিআইইউ ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজে প্রথম বষের্র শিক্ষার্থী ছিলেন। চার বছর আগে পাগলা মধ্যরসুলপুর এলাকার দিপুর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়।
২০-২৫ দিন আগে দিপুর পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায় আখি আক্তারের পরিবার। উভয় পরিবারের সম্মতিতে আগামী ১৭ নভেম্বর আখি আক্তার ও দিপুর বিয়ের দিন ধার্য হয়। কিন্তু গোপনে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) পরিবারের সম্মতিতে আরেক জায়গায় বিয়ে করেন দিপু। এতে আখি আক্তার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
শনিবার দিপুর সঙ্গে দেখা করেন আখি আক্তার। সেখান থেকে ফিরে এসে তিনি আরও বেশি হতাশ হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন আখি আক্তার। এ সময় পাশে একটি ডায়েরিতে আখি আক্তার লিখে যান ‘দিপু আমার সাথে বেইমানি করেছে’।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা (১) বলেন, সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে অভিযুক্ত দিপুকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: